বাড়ির ট্যাংকে ঝিনুক থেকে মুক্তা চাষ করে মাসে ৩ লক্ষ টাকা আয়

মুক্ত এমন এক ধরনের পদার্থ যা কমবেশি আমাদের সকলেরই লো-ভ থেকে থাকে। মুক্ত দিয়ে বিভিন্ন অলংকার তৈরি হয় বর্তমান যুগে। এবং যার দাম আকাশছোঁয়া। অর্থাত্‍ মুহূ-র্তকে অ-ত্য-ন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে ধরা হয় বর্তমান প্রজন্মের ।কিন্তু এই মুক্ত র উত্‍পন্ন কোথা থেকে সেই কথা আমরা সকলেই জানি । বা ইতিমধ্যে আমরা পড়েছি পাঠ্য বইয়ে। মুক্ত সাধারণত ঝিনুক থেকে উত্‍পন্ন হয়। এরা মা-লা-স্কা পর্বের অন্তর্গত প্রাণী।

কিন্তু মুক্ত পাওয়া যাবে কোথায় সেকথাও আমরা ইতিমধ্যে অনেকেই জানি । মুক্ত সাধারণত পাওয়া যায় সমুদ্রের তলদেশে ঝিনুক থেকে। ডুবুরিরা বহুকষ্টে ঝিনুক সংগ্রহ করে এবং সে ঝিনুক থেকে প্রাপ্ত মুক্ত বিদেশে রপ্তানী করে এবং অর্থ উপার্জন করে ।কিন্তু আপনাকে এখন আর যেতে হবে না সমুদ্রের তলদেশে ।বর্তমানে উন্নত শিখরে পৌঁছেছে যে আপনি বাড়ির মধ্যে চাষ করতে পারেন মুক্তোর।

আমরা সাধারণত শুনে থাকি যে বাড়ির মধ্যে ছোটখাটো চা-ষ হিসেবে মাছ চাষ করা যেতে পারে । কিন্তু মুক্ত চাষ ? তাও বাড়ির মধ্যে? কিভাবে সম্ভব ? এরকম একটি অসাধ্য সাধন করেছেন কেরলের এক কৃষক নাম কে জে মাথাচান । তিনি বলেন যে সম্প্রতি তিনি দুবাই চাকরি করতেন ।

কিন্তু একটি গো-প-ন সূত্রে খবর পেয়েছিলেন যে চিনে এই ধরনের বাড়িতে চাষ করার একটি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তাই তিনি সেই চাকরিটি ছেড়ে দিয়ে এই কোর্স নিয়ে তিনি ডিপ্লোমা করেন এবং নেমে পড়েন মাঠে। তিনি এ ধরনের সিদ্ধান্ত খুব তাড়াতাড়ি নিয়েছিলেন ফলে তার কাছের মানুষজন এই কাজে নামতে বাধা দিয়েছেন

কিন্তু শেষমেশে তিনি তো-য়া-ক্কা করেননি কাউকে । তিনি আ-ত্মবিশ্বাসী ছিলেন তার নিজের কাজের প্রতি। তাই মাঠে নেমে পড়েছিলেন তাড়াতড়ি। আর মিলল হাতেনাতে ফল ।

কে.জে মাথাচান আরও বলেন, “খুব দ্রুতই আমি সিদ্ধান্তটা নিয়ে ফেলেছিলাম। বহু লোকই সেই সময়ে আমাকে এই কাজে নামতে বাধা দিয়েছিলেন। কিন্তু আমি নিশ্চিত ছিলাম যে, এই ধরনের চাষের কাজে সাফল্য আস-বেই।” শুধু তাই নয়, যেমন ভাবা তেমন কাজ। এরপর তিনি সুদূর মহারাষ্ট্র থেকে পরিষ্কার জল নিয়ে এসে বাল-তিতে করে সাজিয়ে সেগুলি তারপরে পুকুরে ফেলে টেস্টিং শুরু করে দিলেন।

এই ভাবে ঠিক ১৮ মাস রিসার্চ করার পরই ৫০ বালতি মুক্ত ফলিয়ে ফেলেন মাথাচান।তিনি বলেন, “একদম প্রথম-প্রথমই আমি ১.৫ লক্ষ টাকা মুক্তোর চাষের কাজের জন্য খরচ করেছিলাম। আর সেখানে থেকে ৪.৫ লক্ষ টাকা উপার্জন করি আমি। অর্থাত্‍ প্রথমেই প্রায় ৩ লক্ষ টাকার লাভ, যে অ-ঙ্ক-টা আমিও কখনও কল্পনা করিনি।”

কিন্তু অয়েস্টার ব্যতিরেকে, কী ভাবে এই অসাধ্যসাধন সম্ভব? মাথাচানের ব্যখ্যায়, “মূলত তিন ধরনের মুক্ত রয়েছে- প্রাকৃতিক, কৃত্রিম এবং কর্ষিত। সত্যিকারের মুক্তের ১ ক্যারেটের দাম ৩৬০ টাকা এবং তা ১ গ্রামের দাম প্রায় ১৮০০ টাকার কাছাকাছি।” প্রোডাকশন আরও একটু বেশি করে করার জন্য নিজের জমিতেই একটি কৃত্রিম ট্যা-ঙ্ক বসিয়েছেন মাথা-চান।