আমি কোনোদিন লি;ভ টু;গেদা;রে ছিলাম না: প্রভা

ঢালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান প্রভা। ছোট পর্দার এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী দেড় যুগের বেশি সময় ধরে মিডিয়ায় নিয়মিত অভিনয় করছেন। সেই ২০০৫ সাল থেকে মডেলিংয়ের মাধ্যমে অভিনয় জগতে প্রবেশ করেন। তারপর বিজ্ঞাপন দিয়ে শুরু করে প্রভা অনেক জনপ্রিয় টেলিফিল্ম, নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে বেশ আলোচনায় চলে আসেন। তবে এখন পর্যন্ত কোনো চলচ্চিত্রে কাজ করেননি তিনি।

ছোট পর্দার এই লাস্যময়ী অভিনেত্রী নিপুণ রূপ-লাবণ্যে যেমন দর্শকের হৃদয়ে জায়গা করে আলোচিত হয়েছেন, ঠিক তেমনি বিয়ে এবং একটি অপ্রত্যাশিত ঘটনার কারণে হোঁচট খেয়েছেন তিনি। এই গল্পটি সবারই জানা। এ বিষয়ে বিভিন্ন সময় তিনি কথা বললেও এবার পুরোপুরি প্রাক্তন প্রেমিক রাজীবের বিষয়ে জানিয়েছেন তিনি নিজেই। একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও ঘনিষ্ঠ সূত্রের মাধ্যম থেকে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

নিজের জীবনের ঘটে যাওয়া ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি রাজিবকে অনেকবার ছেড়ে যেতে চেয়েছি। আমাদের ব্রেকআপ হয়েছে, ব্রেক-আপের পরে আমার অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক হয়েছে, সেই বিয়ে আমি করিনি। রাজিব পড়াশোনা করত না। আমি তাকে চিনি যখন আমি ক্লাস নাইনে পড়ি। কিন্তু আমি যখন অনার্স থার্ড সেমিস্টার, তখন পর্যন্ত সে অনার্স ফার্স্ট সেমিস্টার। কেন জানেন, কারণ সে বিভিন্ন ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হতো! কিন্তু বারবার রেজাল্ট খারাপ করতো, ইউনিভার্সিটি তাকে বের করে দিত আবার অন্য ইউনিভার্সিটিতে টাকা দিয়ে ভর্তি হতো।

‘ও আরেকটা কথা রাজিব কিন্তু কোনো ইনকাম করত না। রাজিবের বাবার টাকা ছিল। কিন্তু রাজিবের সঙ্গে আমার আরেকটা সমস্যা ছিল সেটা হলো যে, রাজিব কোনো কিছু ইনকাম করতে চাইত না! ওর কথা, আমার বাবার এত আছে আমার কেন ইনকাম করতে হবে। এই জিনিস নিয়ে আমাদের প্রচণ্ড দ্বন্দ্ব হতো। সবচেয়ে বেশি হতো পড়াশোনা নিয়ে। এই সমস্ত জিনিস নিয়ে আমাদের প্রচুর ব্রেকআপ হয়েছে!’

এই অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘আর যেহেতু ধর্মীয়ভাবে অন্যায় করেছি, সোশ্যালি কোনো অন্যায় করিনি তাই ধর্মের নিয়মে বলছি, আমার এই ঘটনার পর আমার প্রাক্তন স্বামীর উচিত ছিল আমাকে আরো বেশি সাপোর্ট করা। মারাও যেতে পারতাম। শুধু আত্মহত্যা করলে কোনভাবেই সৃষ্টিকর্তার কাছে যেতে পারব না, সেই ভয়ে আর আল্লাহর সাথে দেখা করার লোভে আ;ত্মহ;ত্যা করি নাই। তার জীবন সুন্দর হয়েছে।’

রাজিবের সাথে আমার সম্পর্ক থাকাকালে যতবার ঝগড়া লেগেছে ততবারই আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করত এবং আমাকে নিয়ে অনেক মিথ্যা বানিয়ে বানিয়ে বলতে। পরবর্তীতে আবার আমার সাথে সে ঠিক করতে চাইত। ও ক্রি;মি;নাল, কিন্তু আমি অনেক বড় ছাগল ছিলাম।

‘একটা মানুষ যখন সম্পর্ক টেকে না, সম্পর্ক টানাপোড়েন শুরু হয় তখন আমার ব্যক্তিগত চরিত্র নিয়ে বাজে কথা বলে, তাহলে সেই মানুষটার কাছে কেন বারবার আমি ছুটে যাই। ভয় ছিল। বিশ্বাস করেন, ভালোবাসা অনেক আগেই মরে গিয়েছিল। ভয় ছিল, ক্ষতির ভয়, যেটা সত্যিতে পরিণত হয়।’

‘একটা কথা, বেঁচে যেহেতু আছি, জীবনে চলার পথে ভালোবাসা আসতে পারে। আপনাদের চোখে তো আবার আমি বাজে মেয়ে, বাজে মেয়েটা বহুবার ফিজিক্যালি অ্যাবিউজড হয়েছে। কিন্তু কিছু বলতে পারিনি।চাইছি সম্পর্ক টিকুক। আমি আবার কিছু বললে আপনারা তো বিশ্বাস করবেন না।’

গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘আপনারা দয়া করে পত্রিকার কথা বিশ্বাস করবেন না। পত্রিকার লোকেদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভালো না। তাদের সঙ্গে এক জায়গায় বসলে বা খেলে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকে। তারা খুব অসুস্থ হয়ে গিয়েছে। তাদের পত্রিকা বিক্রির জন্য তারা নানান কথা বানিয়ে বানিয়ে লিখতে হয়। স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে।

‘যাইহোক, তবে আমি এতটুকু বলতে পারি আমি, কোনোদিন লি;ভ টুগে;দারে ছিলাম না। যে বাসায় আমি থাকি মানে আমার বাবা-মার বাসা, সেখানে আমাকে শুটিং ব্যতীত রাত দশটা থেকে সাড়ে দশটার মধ্যে ঢুকতে হয়।’

এক সময়ের তুমুল জনপ্রিয় প্রভা শেষে লিখেছেন, ‘আত্মহত্যা করিনি বলে আপনারা আমাকে প্রতিনিয়ত ইন্সপায়ার করেন, মেরে ফেলতে চান, না জেনে না বুঝে আমাকে বিভিন্নভাবে খারাপ মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চান।’

প্রসঙ্গত, তবে গত কয়েক বছরে নিজের সেই ঘটানাটি সামাল দিয়ে আবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছেন ক্যামেরার সামনে। নিয়মিত অভিনয় করছেন তিনি। তবে এখন তিনি ব্যক্তিগত জীবন একেবারেই নিজের মতো করে আড়ালে রাখেন। সবাই যখন সামাজিক মাধ্যমে নিজেকে মেলে ধরেছেন এই সময়টাতে এসে। তিনি ঠিক তার বিপরীত নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টটিও রাখেন প্রাইভেসিতে।