খাল থেকে বিরল প্রজাতির কুমির মাছ উদ্ধার

পশ্চিমবঙ্গের ঠাকুরপুকুরের চড়িয়াল খাল থেকে একটি বিরল প্রজাতির মাছ ধরা পড়ল। মাছটির ওজন প্রায় ২০ থেকে ২২ কেজি। মাছটি ধরা পড়ার পর থেকে এলাকার মানুষের মধ্যে সেটি দেখার বেশ উৎসাহ তৈরি হয়েছে। প্রচুর মানুষ ভিড় করেছে মাছটিকে দেখার জন্য। কেউই এই ধরনের মাছ আগে দেখেনি বলে দাবি। যার ফলে এর নাম অজানা সকলের কাছে। ফলে এই অজানা মাছের টানেই খালের ধারে শুধু মানুষের ভিড়৷

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুরে স্থানীয় মৎস্যজীবীরা মাছ ধরতে নেমেছিলেন ওই খালে৷ তাঁদের জালেই ধরা পড়ে এই বিরল প্রজাতির মাছটি৷ সেই মাছটিকে জালে তোলার পর তাঁরা দেখেন, মাছটির ওজন প্রায় ২০ থেকে ২২ কেজি৷ এই ধরনের একটি বিরল প্রজাতির মাছ উদ্ধার হয়েছে এই খাল থেকে, সেই খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে বেশি সময় লাগেনি৷ আর খবর পাওয়া মাত্র একের পর এক লোকজন এসে ভিড় জমাতে শুরু করেন খালের ধারে৷ সকলেই উৎসুক বিরল মাছটিকে একবার দেখার জন্য৷ ফলে খালের ধারে মানুষের ভিড়ে তিল ধারণের জায়গা ছিল না প্রায়৷

মৎস্য বিজ্ঞানীদের থেকে জানা যায়, মাছটির নাম এলিগেটর ফিস অর্থাৎ কুমীর মাছ। এই ধরনের মাছ ইকো সিস্টেমের পক্ষে খুব ক্ষতিকর। এই মাছ অন্যান্য মাছদের খেয়ে ফেলে। তবে এই মাছ অনেকেই অ্যাকোরিয়ামে পোষে৷ কিন্তু ক্ষতি করলেই খালে কিংবা নদীতে ছেড়ে দেয়। ফলে অনেকেরই দাবি, তেমনই কেউ বাড়ির অ্যাকোরিয়াম থেকে মাছটি খালে ছেড়ে দিয়ে গিয়েছে কোনও সময়৷

এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘‘একটা মাছ আমাদের এলাকার খাল থেকে উদ্ধার হয়েছে৷ এটি একটি বিরল প্রজাতির মাছ৷ আমাদের এলাকার মানুষজন এই মাছ আগে কখনও দেখেননি৷ ফলে এটাকে দেখতে দূর দূর থেকে লোকজন ভিড় করছে৷ খালের সামনে প্রচুর লোক জমা হয়েছে মাছটিকে একবার দেখার জন্য৷’’

মৎস্য বিজ্ঞানী বিজয় কালী মহাপাত্র মাছটি দেখে বলেন, ‘‘এই মাছটির নাম এলিগেটর ফিস অর্থাৎ কুমীর মাছ। যা ইকো সিস্টেমের পক্ষে খুব ক্ষতিকর। এই মাছ অন্যান্য মাছদের খেয়ে ফেলে। এই মাছ মূলত অ্যাকোরিয়ামে পোষে সবাই। ক্ষতি করলেই খালে কিংবা নদীতে ছেড়ে দেয়। মূলত এই মাছ অ্যামাজন নদীতে পাওয়া যায়।’’