গ্যাস ওভেনের নিচে লুকিয়ে ছিল বিশাল বড় এক কোবরা, ফোস করতেই গিন্নি ভয়ে কাত

কোবরা সাপ গ্রাম্য জনজীবনকে অতিষ্ট করে ফেলেছে। তারা যেখানে সেখানে যখন তখন ঢুকে পড়ছে। গ্রামের গৃহবধূদের তারা প্রতিনিয়তই ভয় লাগছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা রান্নাঘরের লুকিয়ে থাকে। এবং রান্নাঘরে যখন গৃহবধূরা কাজ করতে যায় তখন তাদেরকে বিভিন্ন ভয় দেখায়। তারা তাদের ফনা দিয়ে ভয় দেখায় এবং ছোবল দিতে যাচ্ছে। অনেক গ্রামের গৃহবধূ আছে যারা প্রায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন এবং আহত হয়ে হাসপাতালে কাতরাচ্ছে।

আমরা সকলেই জানি সাপ কি বিষাক্ত প্রাণী আর এই সাপের বিষয়ে মানুষ মারা যায়। যদিও কিছু কিছু সাপের বিষে মানুষ আহত হয় মারা যায় না। তবুও সাপের বিষ নিয়ে মানুষ অনেক ভয় থাকে কারণ এমন কিছু সাপের বিষ আছে যা মানুষকে বিকল করে দেয় স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে না। আর কোবরা সাপ গুলো জঙ্গল থেকে সহজে লোকালয়ে চলে আসে। বর্তমানে জঙ্গল থেকে এমন অনেক প্রাণী আছে লোকালয়ে চলে আসে কারণ তারা জঙ্গলে তাদের খাবার ঠিকমতো পাচ্ছে না।

আমাদের উচিত জঙ্গলের যারা পরিদর্শন করে অথবা জঙ্গল যারা পরিচালনা করে তাদেরকে জঙ্গলে সঠিক পরিমাণে খাবার মজুত রাখা। জাতে জঙ্গলের প্রাণী গুলি লোকালয়ে চলে না আসে বিশেষ করে সাপ এবং হাতি। আজ আপনাদের সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হওয়া ভিডিও সম্পর্কে বলব। আর এই ভিডিওতে দেখা যায়, গ্রামের গৃহবধূ রান্নাঘরে সাপ ঢুকে পড়েছে। গৃহবধুটির ভয়ে তটস্থ হয়ে রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে যায়। এরপর সাপুরেকে খবর দেয়া হয়।

সাপুড়ে এসে সাপ উদ্ধার করে। আর যখন সাপুড়ে এসে সাপকে উদ্ধার করতে যায় তখন সাপের কি যে অবস্থা? রাগান্বিত হয়ে যেন সবকিছু ধ্বংস করে দিচ্ছিল। সাপের এত পরিমান রাগ উঠে গিয়েছিল যে বস্তু কোনটি প্রাণী কোনটি সেটা তার মাথায় ছিল না। সাপটি যেখানে-সেখানে ছোবল মারবে আর নিজের পালানোর চেষ্টা করছিল। কিন্তু সাপুড়ে তো কম চালাক নয়।

তিনি কোনোমতেই সাপটিকে পালাতে দিচ্ছিল না এবং তার সাহসিকতা দিয়ে সাপটিকে বাহিরে বের করে নিয়ে আনে। আর তখনও সাতটি শুধু ফণা তুলে লোকটিকে ছোবল মারতে যাচ্ছে। সাপুড়ে যখন সাপটিকে বাহিরে বের করে আনে তখন সাপটি অসম্ভব ভাবে ছটফট করছিল। কিন্তু লোকটি কোনমতে সাপটিকে পালাতে দিচ্ছিল না। অন্যদিকে গ্রামের লোকজন খুব ভয়ে পড়ছিল। লোকটি একবার তার পা বাড়িয়েছে সাপের কাছে ঠিক তখনই সাপ টি সেই এস্থানে ছোবল মারে কিন্তু লোকটি পা সরিয়ে নেয়।

এভাবে কিছুক্ষন চলার পর লোকটি সাপটিকে শান্ত করতে সক্ষম হয়। আর এই সাপটি অসম্ভব ধূর্ত-চালাক এবং রাগি ছিল। যখন সাপটি সাপুড়ের আওতায় আসছিল ঠিক তখনই সাপুড়ের সাপটিকে একটি বিস্কুটের কৌটায় বদ্ধ করতে করে নিয়ে যায়। বিস্কুটের কৌটা বন্ধ করার পর সাপটি জাতে অক্সিজেন নিতে পারে সেজন্য সাপুড়ের কৌটার মধ্যে তিনটি করে দেয়। এরপর সাপুড়ে সাপটিকে নিয়ে তার নিজ গন্তব্যে চলে যায়।