বাংলাদেশের পুরুষদের পক্ষে আমাকে নেওয়া সম্ভব না: বাঁধন

জনপ্রিয় অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন চলতি বছর বেশ আলোচনায় ছিলেন দেশে এবং দেশের বাইরে। তার অভিনীত ‘রেহানা মরিয়ন মূর’ বেশ প্রশংসা কুড়ায় কান উৎসবে। পুরস্কার জেতে একাধিক উৎসবে।

অভিনয় গুণে হঠাৎ আলোচনায় আসা বাঁধন বিয়ে প্রশ্নে গতমাসে বলেছিলেন, ‘আমার দায়িত্ব নেওয়ার ক্ষমতা এদেশের পুরুষের কঠিন হবে।’ তার এমন মন্তব্যে বাহবা দিয়েছেন অনেকেই, করেছেন সমালোচনাও। মানসিকভাবে আহত হয়েছেন অনেক পুরুষ।

ওই মন্তব্য নিয়েই সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপ হয় বাঁধনের। মন্তব্যটি জেনে বুঝেই করেছেন বলে জানান এই অভিনেত্রী।

বাঁধন বলেন, ‘পুরুষ শব্দটা আমি ব্যবহার করেছি পুরুষতান্ত্রিক সমাজে বেড়ে উঠা পুরুষদের জন্য। এখন পুরুষতান্ত্রিক সমাজে বেড়ে উঠা পুরুষরা যদি আমার ওই কথায় ব্যক্তিগতভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হন বা আহত হন সেখানে আমার কিছুই করার নেই। তাদের পক্ষে আসলেই আমাকে নেওয়া সম্ভব না।’

বাঁধনের মন্তব্য, পুরুষতান্ত্রিক সমাজে পুরুষের আঘাতে আঘাতে শক্ত হয়েছেন তিনি। হয়ে উঠেছেন প্রতিবাদী। তবে তার জীবন এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক পুরুষেরও অবদান রয়েছে বলে নির্দ্বিধায় স্বীকার করেন তিনি।

বাঁধন বলেন, ‘পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় নারী-পুরুষ উভয়ই যে মানুষ হিসেবে বেড়ে উঠতে পারে, তার প্রমাণও আছে আমাদের আশেপাশে। সেখানে কিন্তু কেনো সমস্যা নাই। আমি সবসময় বলে এসেছি, আমার জীবন এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে নারীদের চেয়ে সমাজের অনেক পুরুষের ভূমিকা অনেক বেশি। সেই জায়গা থেকে যে পুরুষতান্ত্রিক সমাজে বেড়ে উঠা পুরুষদের কথা বলেছি, সে জায়গায় থেকে তারা যদি ব্যক্তিগতভাবে আহত হয়ে থাকেন, সেখানে আমার কিছু করার নেই।’

বাঁধনের গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জ তবে তার জন্ম ঢাকায়। তিনি বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ থেকে দন্ত চিকিৎসা বিষয়ে বিডিএস পাস করেন এবং ২০০৬ সালে লাক্স চ্যানেল আই সুপার স্টার রানার আপ হন. এরপর থেকেই তিনি অভিনয় জগতে কাজ শুরু করেন। নাটকেই তাকে বেশি দেখা গেছে।

২০১০ সালে বিয়ে করেছিলেন এই লাক্স সুন্দরী। বিয়ের চার বছরের মাথায় সংসারের ইতি টানেন তিনি নিজেই। এরপর স্বামীর ঘর ছেড়ে বাবার বাসায় ওঠেন। এখন মেয়ে মিশেল আমানী সায়রাকে নিয়েই তার পৃথিবী। মেয়ে সায়রা পড়াশোনা করছে সানবিমস স্কুলে।