সংগীতশিল্পী ঐশী এখন চিকিৎসক

ঐশী গান প্রসঙ্গে বলেন, গান তো স্বাভাবিক নিয়মে চালিয়ে যাচ্ছি। বর্তমানে কিছু গান নিয়ে নতুন করে কাজ করছি। দুষ্ট পোলাপান, বন্ধু আমার গাড়ির মেকানিক- এ গানগুলো খুব জনপ্রিয়তা পেয়েছে। আমি মনে করি, আমি সফলতার পথেই আছি।

পরিবার থেকে কী ধরনের সাপোর্ট পেয়েছেন- এ প্রশ্নের জবাবে বলেন, কী বলেন, একদমই না,পরিবার থেকে আমি সব সময়ই সাপোর্ট পেয়েছি। আমার ছোট জীবনের সব অর্জন আমার ফ্যামিলীর কারণে।

আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। আমি যতটুকু স্বপ্ন দেখেছি তার চেয়ে বেশি স্বপ্ন দেখেছেন আমার মা-বাবা।

অনেকেই তো বলেন, আমার মেয়েটা যেন ঐশীর মতোই হয়। বর্তমান জেনারেশনের পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা, গান ও শিল্প সংস্কৃতির মতো বিষয়গুলো এক সঙ্গে চালিয়ে নেয়ার মতো যোগ্যতা আছে।

২০১৫ সালে মেডিকেলে ভর্তি হন ঐশী। ২০০০ সালে রংপুর শিশু একাডেমিতে গান শেখা শুরু করেন ঐশী। ২০০৩ সালে নোয়াখালীতে মুহাম্মদ শরীফ ও পরে হাফিজ উদ্দীন বাহারের কাছে উচ্চাঙ্গ ও নজরুল সংগীতে তালিম নেন তিনি। ঢাকায় আসার পর ‘হৃদয় মিক্স থ্রি’ অ্যালবামের জন্য শিল্পী বাছাই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে একটি মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান। সেই প্রতিযোগিতার নানা ধাপ পেরিয়ে সেরা পাঁচে জায়গা করে নেন ঐশী।

এই আয়োজনের সেরা প্রতিযোগীদের নিয়ে তৈরি এক অ্যালবামে ‘দখিন হাওয়া’ শিরোনামে একটি গানে কণ্ঠ দেন তিনি। সেই থেকে শুরু। ২০১৫ সালে প্রকাশিত হয় ঐশীর প্রথম একক অ্যালবাম ‘ঐশী এক্সপ্রেস’। ‘মায়া: দ্য লস্ট মাদার’ সিনেমার ‘মায়া’ গানটির জন্য ২০২০ সালে জাতীয় পুরস্কার লাভ করেন ঐশী।