বর্তমান সময়ে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে অনেকেই গতানুগতিক ভাবে চাকরির পথে না হেঁটে বিভিন্ন লাভজনক ব্যবসার (Business) প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন। যেগুলিকে সঠিকভাবে শুরু করার মাধ্যমে প্রতি মাসে হচ্ছে মোটা অঙ্কের লাভও। ঠিক সেইরকমই এক ব্যবসা হল হাঁস-মুরগি পালন। এমনিতেই গ্রামাঞ্চলে হাঁস-মুরগি পালনের বিষয়টি সবচেয়ে বেশি পরিলক্ষিত হয়।
তবে, এবার চাহিদার ওপর ভর করে সর্বত্রই এই ব্যবসার প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন মানুষ। যার ফলে ডিম ও মাংসের উৎপাদনও বেড়েছে। এদিকে সরকার হাঁস-মুরগি পালনের ব্যবসাকে ক্রমাগত উদ্বুদ্ধ করছে। শুধু তাই নয়, এই ব্যবসা শুরু করার ক্ষেত্রে দুর্দান্ত ভর্তুকিও দেওয়া হচ্ছে। এমতাবস্থায়, বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা আপনাদের কাছে এমন একটি মুরগি প্রতিপালনের বিষয় উপস্থাপিত করব যেটি লাভের দিক থেকে কড়কনাথ মুরগিকেও টেক্কা দেবে।
১০০ টাকায় বিক্রি হয় এই মুরগির প্রতিটি ডিম: মূলত, আমরা আসিল প্রজাতির মুরগি প্রতিপালনের বিষয়টি জানাবো। এই মুরগি সাধারণত মাংস উৎপাদনের জন্য পালন করা হয়। এদিকে, ডিম উৎপাদনের দিক থেকে এই মুরগিকে দুর্বল বলে মনে করা হলেও আসিল মুরগি বছরে ৬০ থেকে ৭০ টি ডিম পাড়তে পারে। পাশাপাশি, এই ডিমের দামও অনেকটাই বেশি। জেনে অবাক হবেন যে, এই মুরগির প্রতিটি ডিম ১০০ টাকায় কেনা হয়। আসিল মুরগির ডিম চোখের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
এই মুরগির আকার: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, আসিল মুরগির মুখ হল অনেকটাই লম্বা। পাশাপাশি, এই মুরগির শক্ত এবং সোজা পা রয়েছে। সাধারণত এই প্রজাতির মোরগের ওজন হয় ৪-৫ কেজি। পাশাপাশি মুরগির ওজন হয় ৩-৪ কেজি। এছাড়াও, কমবয়সী মোরগদের ওজন হয় গড়ে ৩.৫-৪.৫ কেজি। এদিকে, কমবয়সী মুরগির ওজন হয় ২.৫-৩.৫ কেজি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, দেশের একাধিক জায়গায় মুরগির লড়াইয়ের চল রয়েছে। এমতাবস্থায়, সেখানে আসিল জাতের মুরগি ও মোরগ লড়াইয়ের জন্য ব্যবহার করা হয়।
এই রাজ্যগুলিতে পাওয়া যায় আসিল মুরগি: জানিয়ে রাখি যে, আসিল মুরগির জাতটি দক্ষিণ পাঞ্জাব, উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান এবং অন্ধ্রপ্রদেশে পাওয়া যায়। এগুলির অন্যান্য জাতগুলির মধ্যে রেজা (হালকা লাল), টিকার (বাদামি), চিত্ত (কালো এবং রুপোলি সাদা), কাগর (কালো), Nurie 89 (সাদা), ইয়ারকিন (কালো এবং লাল) অত্যন্ত জনপ্রিয়।