বলিউডের তারকা দম্পতি ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন ও অভিষেক বচ্চনের একমাত্র সন্তান এবং বচ্চন পরিবারের সবচেয়ে ছোট সদস্য হিসেবে আরাধ্যা বচ্চনের প্রতি দর্শকদের আগ্রহ সবসময়ই একটু আলাদা।
সম্প্রতি আরাধ্যাসহ অভিষেক ও ঐশ্বরিয়া মুম্বাই বিমানবন্দরে ফটোসাংবাদিকদের ক্যমেরা বন্দী হন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের বেশ কিছু ছবি এবং ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে ঐশ্বরিয়ার সুন্দরের সঙ্গে তুলনা করে মেয়ে আরাধ্যার সুন্দরের প্রশংসায় ভাসছেন ভক্তরা।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইনস্টাগ্রামে ফটোসাংবাদিকদের শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা গেছে মুম্বাই বিমানবন্দর থেকে মেয়েকে নিয়ে বেরোচ্ছেন অভিষেক-ঐশ্বরিয়া। টার্মিনাল বিল্ডিং থেকে বেরিয়ে আসার পর আরাধ্যা ফটোসাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে হাত জোড় করে অভ্যর্থনা জানিয়ে ‘নমস্তে (হ্যালো)’ বলে ওঠেন। এরপর ঐশ্বরিয়া এবং আরাধ্যা হাসিমুখে অভিষেকের সঙ্গে গাড়িতে উঠে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
এছাড়া গাড়িতে ওঠার আগেও আরাধ্যা ফটোসাংবাদিকদের দিকে তাকিয়ে ‘হাই’ বলেন। ঐশ্বরিয়া ফটোসাংবাদিকদের জিজ্ঞেস করেন, ‘নমস্তে, কেসে হো (হ্যালো, কেমন আছেন)?’ ঐশ্বরিয়া ভিতরে ঢোকার পর গাড়ির দরজা বন্ধ করে দিয়ে ফটোসাংবাদিকদের দিকে তাকিয়ে হাসলেন অভিষেক।
এসময় অভিষেকের পরনে একটি ধূসর সোয়েটশার্ট, ডেনিম এবং সাদা স্নিকার্সের সঙ্গে মাথায় টুপি ও চোখে চশমা ছিল। ঐশ্বরিয়ার কালো পোশাক ও স্নিকার্সের সঙ্গে হাতে ব্যাগও নিয়েছিলেন। আর আরাধ্যা ছিল বেগুনি রঙের সোয়েটশার্ট, ডেনিম এবং স্নিকার্সে।
এদিকে ভিডিওতে ফটোসাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে হাত জোড় করে অভ্যর্থনা জানাতে দেখে আরাধ্যাকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন নেটিজেনরা। একজন লিখেছেন, ‘ঐশ্বরিয়া কন্যা মিষ্টি ও নম্র।’ অপর একজনের মন্তব্য, ‘মায়ের মতোই মেয়েও মিষ্টি’। কেউ লিখেছেন, ‘দিন দিন দেখতে সুন্দরী হয়ে উঠছে আরাধ্যা’। কজন ভক্ত মন্তব্য করেছেন, ‘ঐশ্বরিয়ার চেয়ে সুন্দর আর কেউ হতে পারে না’।
২০০৭ সালে গাঁটছড়া বাঁধেন অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে ঐশ্বরিয়া। এরপর ২০১১ সালে আরাধ্যার জন্মের পর তো লম্বা বিরতিতে ছিলেন তিনি। ২০১৫ সালে ‘জজবা’ ছবি দিয়ে কামব্যাক করেন। তারপর হাতেগুনে কাজ করেছেন ‘সর্বজিত’, ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’, ‘ফেনি খান’ আর ‘পন্নিয়িন সেলভান’-এর দুই পর্বে।
অন্যদিকে, শীঘ্রই আর বাল্কির স্পোর্টস ড্রামা ফিল্ম ‘ঘুমরে’ দেখা যাবে অভিষেককে। ছবিতে আরও তার সঙ্গে অভিনয় করেছেন শাবানা আজমি, সাইয়ামি খের এবং অঙ্গদ বেদি।