‘ছায়াবাজ’ ছবিতে অভিনয় করতে আগস্টের শেষ দিকে এপার বাংলায়ে উড়ে এসেছিলেন সায়ন্তিকা। কক্সবাজারে কয়েকদিন শুটিং করে প্রযোজক মনিরুল ইসলামের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে কাজ শেষ না করে দেশে চলে যান। ঢাকাই সিনেমায় প্রথমবার অভিনয় করতে এসে খারাপ অভিজ্ঞতা নিয়ে কলকাতায় ফিরেছেন সায়ন্তিকা ব্যানার্জী।
কলকাতায় ফিরে সেখানকার গণমাধ্যমকে মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অপেশাদার আচরণের অভিযোগ আনেন দিনি। তবে ছবির নায়ক জায়েদ খানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ এ নায়িকা। সায়ন্তিকার কথায়, ‘জায়েদ খান এত সুন্দর, এত লম্বা, এত পরিষ্কার (ফর্সা)! সত্যিই, তাকে দেখলেই আমার কেমন যেন লাগে। উফ…।’
শোনা যাচ্ছিল, হোটেলে একান্তে চার ঘণ্টা সময় কাটিয়েছেন জায়েদ-সায়ন্তিকা। গুঞ্জন রটেছে, তারা নাকি প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন। এর খানিকটা আভাস মিলল কলকাতার নায়িকার কথায়। যদিও নায়ক জায়েদ খান এটাকে সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন। তিনি জানান, সায়ন্তিকা তার অনেক ভালো বন্ধ কেবল।
সায়ন্তিকার ভাষায়, ‘ও (জায়েদ) তো বাংলাদেশের সুপারস্টার। মেয়েরা তার চারপাশে মাছির মতো ঘুরবে এটা তো স্বাভাবিক। এটাই হওয়া উচিত। নইলে আর কিসের স্টারডম!’
প্রকৃতপক্ষে জায়েদ বাংলাদেশের সুপারস্টার নন। ক্যারিয়ারে নেই উল্লেখযোগ্য ছবি। হাতে গোনা যে কয়েকটি ছবি করেছেন, সেগুলোর একটিও ব্যাবসাসফল হয়নি। তবুও সায়ন্তিকা তাকে সুপারস্টার বলছেন। এমনকি তার প্রতি মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন।
এখন প্রশ্ন উঠেছে, জায়েদকে কেন সায়ন্তিকা প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন? সত্যিই কি তাহলে প্রেম করছেন তারা? যদিও প্রশ্নের উত্তরে জায়েদ জানিয়েছেন, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তাদের মধ্যে কেবল বন্ধুত্বের সম্পর্ক। এদিকে জায়েদের সঙ্গে ‘টাইগার’ নামে আরও একটি ছবিতে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন সায়ন্তিকা। কিছুদিন পর সেটির শুটিং করতে ফের ঢাকায় আসার কথা তার।