দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলায় এক মাদরাসা শিক্ষার্থী মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তরিত হয়েছে। তার নাম নাইমা আক্তার লিয়া। এ নাম পরিবর্তন করে পরিবার তার নাম রেখেছে নাইম হোসেন। তার এমন পরিবর্তনে পরিবার ও এলাকাবাসী ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন।
নাইম উপজেলার চতুরপুর দাখিল মাদরাসার সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সে বড় হয়ে হতে চায় একজন শিক্ষক। তবে চিকিৎসকরা বলছেন এ ধরনের পরিবর্তন বিরল নয়।
নাইম হোসেনের বাবা করম আলী জানান, এক ছেলে, দুই মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে তার সংসার। হঠাৎ একদিন বড় মেয়ে নাইমা আক্তার লিয়া মাকে বলেন, ‘মা আমি মেয়ে থেকে ছেলে হয়েছি।’ পরে তার মা দেখে সত্যিই তার মেয়ে ছেলেতে রূপান্তরিত হয়েছে। কথাটি শুনে প্রথমে কেউ বিশ্বাস না করলেও পরে শারীরিক পরিবর্তনগুলো চোখে পড়তে শুরু করে।
প্রথমে ভয় পেয়ে গেলেও পরে অবশ্যই সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদ বলে মনে করেন পরিবার। পরিবর্তনের পর রিয়ার পরিবার তার নাম রেখেছে নাইম হোসেন। নাইমকে দেখতে রোজ ভিড় জমাচ্ছেন কৌতুহলী প্রতিবেশীরা। নাইমকে নিয়ে তার পরিবারের লোকেরা অনেক স্বপ্ন দেখছেন। নাইম বড় হয়ে হতে চায় একজন আদর্শ শিক্ষক।
স্থানীয় কয়েকজন বলেন, আমাদের গ্রামের করম আলীর মেয়ে লিয়া মেয়ে থেকে ছেলে হয়ে গেছে। আমরা অবাক হয়েছি, আল্লাহপাক সবাই করতে পারেন। ছোট থেকেই সে আমাদের সামনে মেয়ে হয়ে বেড়ে উঠেছে। আজ সে ছেলেতে রূপান্তরিত হয়েছে।
স্থানীয় চতুরপুর দাখিল মাদরাসার সুপার আবদুর রশিদ বলেন, নাইমা আক্তার লিয়া আমার মাদরাসায় সপ্তম শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। লেখাপড়াতে সে অনেক ভালো। এ ছাড়াও ফুটবলসহ বিভিন্ন খেলাধূলায় সে ভালো পারদর্শী। হঠাৎ শুনতেছি সে মেয়ে থেকে ছেলে হয়েছে।
হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার কামরুন নাহার আজাদী বলেন, ছেলে থেকে মেয়ে হওয়া এটি কোনো বিরল ঘটনা না। এটি জিনগত এবং হরমোনের সমস্যার কারণে হয়ে থাকে। প্রথমে না বোঝা গেলেও পরে বয়স বেশি হলে তা বোঝা যায়।
Priyo Bangla 24 – Most Popular Bangla News The Fastest Growing Bangla News Portal Titled Priyo Bangla 24 Offers To Know Latest National And Local Stories.