‘বলিউড বাদশাহ’খ্যাত অভিনেতা শাহরুখ খান। দীর্ঘ পাঁচ বছর বিরতি পর চলতি বছরে বলিউডের বক্স অফিসে রাজকীয় প্রত্যাবর্তন করেন এ অভিনেতা। শাহরুখের ‘পাঠান’ এবং ‘জওয়ান’- পরপর দুটি সিনেমা ১০০০ কোটির উপর ব্যবসা করেছে। বছরে এভাবে দুটো রেকর্ড ব্রেকিং সিনেমা যে কোনো তারকার ক্যারিয়ারেই বিরল।
হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে ৬ হাজার কোটি রুপির বেশি সম্পদ নিয়ে ভারতের সবচেয়ে ধনী অভিনেতার তকমা পেয়েছেন শাহরুখ খান।
সম্প্রতি সিয়াস্যাট প্রকাশ করেছে ২০২৩ সালে ভারতের শীর্ষ ২০ ধনী তারকার তালিকা। সেখানে শাহরুখের মোট সম্পত্তির পরিমাণ দেখানো হয়েছে ৭৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যা ৬ হাজার কোটির বেশি।
এর পরেই রয়েছেন হৃতিক রোশন, তার সম্পত্তির পরিমাণ ৪১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ভারতীয় মুদ্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটির কাছাকাছি। ধনী তারকার তালিকায় তিন নম্বরে রয়েছেন অমিতাভ বচ্চন, ৩৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। সালমান খান রয়েছেন চার নম্বরে। সম্পত্তির পরিমাণ ৩৫৫ মিলিয়ন ডলার।
শাহরুখ খানের সম্পত্তির পরিমাণ শুনে রীতিমতো আনন্দে মেতেছেন ভক্তরা। একজন লিখেছেন, ‘শুধু বলিউড নয়, দেশের বাদশা।’ আরেকজনের মন্তব্য, ‘ডাংকি আসছে। শাহরুখের সম্পত্তি আরও বাড়বে।’ চলতি বছরের ডিসেম্বর মুক্তি পাবে শাহরুখের নতুন সিনেমা ‘ডাংকি’। রাজকুমার হিরানি পরিচালিত এ সিনেমায় শাহরুখের বিপরীতে রয়েছেন তাপসী পান্নু।
এর নজরে ২০২৩ সালে ভারতের শীর্ষ ২০ ধনী অভিনেতা-
১. শাহরুখ খান: ৭৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার
২. হৃতিক রোশন: ৪১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার
৩. অমিতাভ বচ্চন: ৩৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার
৪. সালমান খান: ৩৫৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার
৫. অক্ষয় কুমার: ৩২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার
৬. আমির খান: ২৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার
৭. চিরঞ্জীবী: ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার
৮. রাম চরণ: ১৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার
৯. সাইফ আলী খান: ১৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার
১০. নাগার্জুন আক্কিনেনি: ১২৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার
১১. প্রিয়াংকা চোপড়া: ৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার
১২. অনুপম খের: ৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার
১৩. অজয় দেবগন: ৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার
১৪. দীপিকা পাড়ুকোন: ৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার
১৫. জুনিয়র এনটিআর: ৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার
১৬. কারিনা কাপুর: ৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার
১৭. জোসেফ বিজয়: ৫৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার
১৮. রজনীকান্ত: ৫৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার
১৯. মিঠুন চক্রবর্তী: ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার
২০. নাসিরুদ্দিন শাহ: ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার