ব্রাজিলিয়ান রেনবো স্নেক, সুন্দর, উজ্জ্বল ত্বকের জন্য এরা বিখ্যাত। এদের বাদামী বা লালচে বাদামী রংয়ের দেহ। এদের মাথার উপরে তিনটি সমান্তরাল কালো ডোরা এবং পিছনে বড় কালো রিং দাগ থাকে।
দেহের পাশের অংশের দাগগুলি উপরের দিকে কমলা বা লালচে অর্ধচন্দ্রাকৃতি। এই প্রজাতির মধ্যে রঙ এবং চিহ্নের মধ্যে প্রচুর বৈচিত্র রয়েছে। এরা সাধারণত স্থলজ এবং এদের দৈর্ঘ্য ৪ থেকে ৬ ফুট পর্যন্ত হয়।ব্রাজিলিয়ান রেইনবো স্নেকের মাথা বিশেষভাবে বড় নয়, তবে এটি ঘাড়ের চেয়ে স্পষ্টভাবে প্রশস্ত। আমাজন নদীর অববাহিকা, উপকূলীয় গায়ানা, ফ্রেঞ্চ গায়ানা,
সুরিনাম এবং দক্ষিণ ভেনিজুয়েলায় ব্রাজিলিয়ান রেনবো স্নেক বসবাস করে। এরা সাধারনত আর্দ্র বনভূমিতে বসবাস করে এবং কখনও কখনও বিস্তীর্ণ সাভানায় এদের দেখতে পাওয়া যায়।
বনাঞ্চলে থাকার কারণে ইঁদুর, পাখি এবং সম্ভবত কিছু জলজ প্রাণী এবং টিকটিকি খেয়েই বেঁচে থাকে এরা। এই প্রজাতির মহিলা সাপ বেশি খায় এবং পুরুষের চেয়ে আকারে আয়তনেও বেশ খানিকটা বড় হয়।
ব্রাজিলিয়ান রেনবো স্নেক সাধারণত রাতের বেলা শিকার ধরে এবং দিনের বেলা নিদ্রায় যায়। সাধারণত একটি গাছ বা ঝোপে বিশ্রাম নেয় এরা। তারা পাখি, তাদের ডিম, ছোট স্তন্যপায়ী, টিকটিকি এবং ব্যাঙকে খায়।এরা সাধারণত শিকার ধরার পর তাদের পেশীবহুল কুণ্ডলীর সাহায্যে শিকারের শরীর চেপে ধরে শিকারকে শ্বাসরোধ করে হ..ত্যা করে। তারপর তারা ভক্ষণ করে।
সম্প্রতিক সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা মিলল একটি ব্রাজিলিয়ান রেনবো স্নেকের। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে যে, এক ব্যক্তি হাতে করে তুলে ধরেছেন ব্রাজিলিয়ান রেনবো সাপটিকে। তিনি এই বিশেষ প্রজাতির সাপটির বিষয়ে বিশদ বিবরণ বিবৃত করছেন। এমনকি এই সাপ কিভাবে খোলস ত্যাগ করে সেটিও দেখানো হয়েছে ভিডিওটির মাধ্যমে।শরীরের মধ্যে রামধনুর মত আভা টাকার কারণে সাপটির নাম ব্রাজিলিয়ান রেইনবো স্নেক। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রথমবারেই সাপ প্রকাশ্যে এলো।
সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রায়শই আমরা বিভিন্ন ধরনের সাপের ভিডিও দেখতে পাই। সোশ্যাল মিডিয়াতে সাপের ভিডিও বেশ জনপ্রিয়। প্রত্যেকবার সাপের ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
এবারও তার ব্যতিক্রম হল না সাম্প্রতিক সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ব্রাজিলিয়ান রেনবো স্নেকের একটি ভিডিও। “4 এভার গ্রীন” নামক একটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে, সাম্প্রতিক পোস্ট করা হয়েছে এই সাপের ভিডিওটি। ইতিমধ্যেই সাড়ে ছয় লাখের বেশি দর্শক ভিডিওটি দেখে নিয়েছেন। ৮ হাজার লাইক পড়েছে ভিডিওটিতে।