সাপ দেখে সাধারণত আমরা সকলেই ভয় পাই। দেখা গেছে, প্রতি বন্যার সময় অর্থাৎ মে, জুন এবং জুলাই, এই তিন মাস সাপের দংশন এবং তার কারণে মৃ’ত্যুর সংখ্যা বাড়ে।
সেই কারণেই সাপের হাত থেকে রক্ষা পেতে মানুষ সাপের থেকে দূরত্ব বজায় রেখেই চলেন। সাপে কাটার ঘটনা গ্রামাঞ্চলে, এবং কৃষি সংশ্লিষ্ট এলাকায় বেশি ঘটে থাকে।
স্থলভূমিতে থাকা সাপ পায়ে বেশি দংশন করে বলেই জানা যায়। সাপের বিষের ব্যবসা অসম্ভব লাভজনক৷ সারাবিশ্বে আনুমানিক ২,৯০০ প্রজাতির সাপ রয়েছে। যদিও তাদের মধ্যে বেশিরভাগ সাপই বিষধর প্রকৃতির নয়।
বিষ বিহীন সাপের সংখ্যায় বেশি। কোটি কোটি টাকার সাপের বিষ পাচার হচ্ছে দেশের বাইরেও৷ ভারতে বিষ নিষ্কাশনের জন্য ধরা হয় প্রধানত চার প্রজাতির সাপ – গোখরো, রাসেল ভাইপার, পিট ভাইপার এবং শাখামুটে৷
বিষ নিষ্কাশনের পর সেই বিষ চালান করা হয় দেশে এবং বিদেশে৷ দেশে চোরা চালানকারীদের নারকটিক সিন্ডিকেটের নেটওয়ার্ক ব্যাপক৷ বিষের চোরা চালানকারীরা প্রায়ই ধরা পড়ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সাপের ভিডিও প্রায়ই ভাইরাল হতে দেখা যায়।
এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। সাম্প্রতিক সোশ্যাল-মিডিয়ায়-ভাইরাল হয়েছে একটি সাপ ধরার ভিডিও। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, এক ব্যক্তি একটি বাড়িতে গিয়েছেন সাপ ধরতে। সাপ ধরার এই দৃশ্য দেখে জড়ো হয়েছেন বেশ কিছু মানুষ।
তবে এই সাপটি যে সে সাপ নয়, বিষধর গোল্ডেন কোবরা।গোল্ডেন কোবরার মধ্যে থাকে নিউরো টক্সিন বিষ। যা সত্যিই প্রাণঘাতী। ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে যে, একটি পরিত্যক্ত জায়গার মধ্যে বেশকিছু বস্তার আড়ালে লুকিয়ে রয়েছে গোল্ডেন কোবরা।
বাড়ির লোকজন দেখতে পেয়ে সাপ ধরতে অভিজ্ঞ এক ব্যক্তিকে খবর দেয়। এরপর তিনি আসেন সাপ ধরতে। ওই ব্যক্তি এসে একটি স্টিলের রড দিয়ে বস্তাগুলো সরাতেই সেখান থেকে ফনা তুলে বেরিয়ে আসে গোল্ডেন কোবরা।
তিনি সাপটিকে ধরতে গেলেই ওই ব্যক্তিকে ছোবল মারতে আসে। তিনি ভয় না পেয়ে এগিয়ে যান। প্রচন্ড রাগে গর্জন করতে থাকে সাপটি। তবুও কৌশল করে সাপটিকে ধরে ফেলেন তিনি। ওই ব্যক্তি জানান এই সবে যদি কামরায় তাহলে মৃ’ত্যু অবধারিত। ভগবানের কৃপায় বেঁচে যেতে পারেন কেউ কেউ। এরপর তিনি সব থেকে কষ্টের সৃষ্টি উদ্ধার করে একটি প্যাকেটের মধ্যে ভরে নিয়ে চলে যান।
মির্জা মোহাম্মদ আরিফ নামক এক ব্যক্তি নিজের ইউটিউব চ্যানেল থেকে সাম্প্রতিক পোস্ট করেছেন এই ভিডিও। আড়াই লাখের বেশি দর্শক ভিডিওটি দেখে নেওয়ার পাশাপাশি হাজার খানেক লাইক পড়েছে ভিডিওটিতে।