লোকসংগীত সম্রাজ্ঞী মমতাজ গানের পাশাপাশি রাজনীতির মাঠে সক্রিয়। মানিকগঞ্জ-২ আসনের টানা দুইবার জাতীয় সংসদের নির্বাচিত সংসদ সদস্য তিনি। সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন। কিন্তু নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ শিল্পপতি দেওয়ান জাহিদ টুলুর কাছে পরাজিত হন মমতাজ।
এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রলের শিকার হচ্ছেন মমতাজ। তবে মুখ বুজে সহ্য না করে নেতাকর্মীদের নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি।
মমতাজ ফেসবুকে ১৫ জানুয়ারি রাত পৌনে ১০টার দিকে আবেগঘন একটি স্ট্যাটাস দেন। স্ট্যাটাসটি নেট দুনিয়ায় মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়। মমতাজ বেগমের স্ট্যাটাস নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনসহ বিভিন্ন মহলে ব্যাপক আলোচনা চলছে। মমতাজ লিখেছেন: ‘নিজের খ্যাতিটাও মাঝে মাঝে গলার কাঁটা মনে হয়। সুনাম নষ্ট হবে এই ভয়ে মুখ বুজে কত যে অত্যাচার সহ্য করতে হয় তা আমি আর আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না। যা কিছু অর্জন করেছি তা আমার অনেক কষ্টের অর্জন। মা বাবা পীর মুর্শিদের দোয়াও আছে।’
কতিপয় কিছু ব্যক্তি তাকে টেনেহিঁচড়ে নিচে নামিয়ে দিচ্ছে উল্লেখ্য করে মমতাজ লিখেছেন, ‘আমার এই অর্জনের পিছনে নির্দিষ্ট কোনও ব্যক্তির হাত না থাকলেও আজ সেটাকে ধ্বংস করতে কতিপয় কিছু ব্যক্তি উঠেপড়ে লেগেছে। যারা কোনোদিনই আমার সুনাম, খ্যাতি, অর্জন, ভালো থাকা কোনোভাবেই সহ্য করতে পারে নাই, তবুও আমি আমার সাধ্যমতো তাদের সম্মান ও সহযোগিতা করে আসছি, কিন্তু লাভ হয়নি! সুযোগ বুঝে ঠিকই আমাকে টেনেহিঁচড়ে নিচে নামিয়ে দিচ্ছে। কষ্টটা হলো আমি যা না, আমি যা করিনি সেই অপবাদ আমাকে দিচ্ছে শুধুমাত্র কিছু অর্থ স্বার্থের বিনিময়ে। আমি জানি সত্যটা ঠিকই একদিন এ দেশের মানুষ জানবে শুধু সময়ের অপেক্ষামাত্র। আল্লাহ তুমি এই স্বার্থপর মানুষগুলোকে হেদায়েত দান করো।’
মমতাজের স্ট্যাটাসে সংগীত ভুবনের অনেকেই মন্তব্য করেছেন। এর মধ্যে অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী লিখেছেন ‘এটাই জীবন’।