আট বছর আগে বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু দাম্পত্য জীবনে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতেই চাইতেন না স্বামী। বরং ‘বিকৃত’ যৌনতাই তাকে আকৃষ্ট করত। স্বামীর এমন কাণ্ড দেখে খটকা লেগেছিল স্ত্রীর। শেষে স্বামীই জানিয়ে দিলেন, তিনি লিঙ্গ বদলে নারী থেকে পুরুষ হয়েছেন। বিয়ের এতগুলো দিন কাটানোর পর স্বামীর স্বীকারোক্তিতে রীতিমতো আঁতকে উঠেছেন স্ত্রী। ঘটনাটি ভারতের গুজরাতের বডোদরার।
ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালে তাদের বিয়ে হয়েছিল। ঘটনা জানার পর স্বামীর বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন ৪০ বছর বয়সী ওই নারী। গত বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) গোত্রী থানায় স্বামী বিরাজ বর্ধনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন ওই নারী।
স্ত্রী অভিযোগ করেন, বিয়ের সময় লিঙ্গ বদলের কথা লুকিয়েছিলেন স্বামী। বিকৃত যৌনতা ও প্রতারণার অভিযোগও করেছেন তিনি। স্বামীর পরিবারের সদস্যদেরও নাম রয়েছে এফআইআরে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ২০১১ সালে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় প্রথম স্বামীর। তাদের ১৪ বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে। ৯ বছর আগে ‘ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটের’ (যেখানে পাত্র-পাত্রীর বিজ্ঞাপন দেয়া হয়) মাধ্যমে বিজয় বর্ধনের সঙ্গে আলাপ হয় ওই নারীর। পর বিজয়ের সঙ্গে ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বিয়ে হয়। বিয়ের পর মধুচন্দ্রিমা করতে তারা কাশ্মীরে গিয়েছিলেন।
স্ত্রীর অভিযোগ, বিয়ের বহুদিন পরও তার স্বামী শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চাইতেন না। নানা অজুহাত দিতেন। একবার জোর করায় তার স্বামী জানান, কয়েক বছর আগে রাশিয়ায় একটি দুর্ঘটনায় তিনি জখম হন। তার অস্ত্রোপচার হয়। সে কারণেই শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে তিনি অক্ষম।
তার স্বামী এও জানান, একটা ছোট অস্ত্রোপচারের পর তিনি ঠিক হয়ে যাবেন। ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে তার স্বামী জানান, ওজন কমানোর জন্য অস্ত্রোপচার করতে কলকাতা গিয়েছিলেন। এরও বছর খানের পর স্ত্রীকে অভিযুক্ত ব্যক্তি বলেন, তিনি আসলে লিঙ্গ বদল করেছেন। তার সঙ্গে ‘বিকৃত’ যৌনতায় লিপ্ত হতেন বলেও স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন ওই নারী। এমনকী এ কথা কাউকে জানালে পরিণতি ভয়ঙ্কর হতে পারে বলে হুমকিও দিতেন স্বামী। নিরুপায় হয়ে স্ত্রী থানার অভিযোগ করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, বিজয়ের আগের নাম ছিল বিজয়েতা। গোত্রী থানার ইন্সপেক্টর এমকে গুর্জর জানান, অভিযুক্ত দিল্লির বাসিন্দা। তাকে বডোদরায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।