প্রায় প্রত্যেক গৃহস্থালিরই বিভিন্ন রকমের পোকামাকড় কীটপতঙ্গের উপদ্রবে জীবন ওষ্ঠাগত হয়ে ওঠে। এর মধ্যে একটি অন্যতম ও বিরক্তিকর জীব হল ইঁদুর। আমাদের বইখাতা, জামাকাপড় এবং আরো মূল্যবান জিনিসপত্র কেটে দিতে সিদ্ধহস্ত এই ছোট্ট প্রাণীটি। মাটির ঘর থেকে আরম্ভ করে ঝাঁ-চকচকে পাকা বাড়িতেও হানা দেয় ইঁদুর। বিভিন্ন রকমের রাসায়নিক কীটনাশক প্রয়োগ করে আমরা ইঁদুরের আনাগোনা নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেও অতিরিক্ত রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহার আমাদের স্বাস্থ্য এবং বাড়ির শিশুদের স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ক্ষতিকারক। বিভিন্ন রকমের কীটনাশক স্প্রে ব্যবহারের ফলে শিশুদের শ্বাসকষ্ট পর্যন্ত হতে পারে।
সুতরাং, এই সমস্ত রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহার না করে কয়েকটি ঘরোয়া টোটকার মাধ্যমে ঘরে ইঁদুরের উপদ্রব কমানো যেতে পারে। এর ফলে একদিকে যেমন স্বাস্থ্যের কোনো ক্ষতি হয় না অন্যদিকে অকারণে জীব হত্যাও হয় না। ঘরে যে সমস্ত জায়গায় ইঁদুরের আনাগোনা বেশি সেখানে রেখে দিতে পারেন লাল লঙ্কা। লাল লঙ্কাগুঁড়োর ঝাঁঝ ইঁদুর একদম সহ্য করতে পারেনা। এছাড়া বিভিন্ন রকমের পোকামাকড়, পিঁপড়েও এর ফলে ঘরে আসে না।
অপরদিকে, লবঙ্গের ঝাঁঝালো গন্ধ ইঁদুরের একদমই পছন্দ নয়। তাই ঘরের কোনায় কাপড়ে মুড়ে লবঙ্গ যদি রেখে দেন তাহলে ঘরে ইঁদুরের উপদ্রব কমবে। আবার পিপারমিন্ট তেলে তুলো ডুবিয়ে রেখে তুলোগুলো ছোট ছোট বল করে ঘরের কোনায় রেখে দেওয়া যেতে পারে। পিপারমিন্টের গন্ধ ইঁদুর তাড়াতে খুবই উপযোগী।
সর্বশেষে ইঁদুর তাড়ানোর অন্যতম একটি উপযোগী উপকরণ হল বেকিং পাউডার। ইঁদুর যাতায়াতের পথে বেকিং পাউডারের গুঁড়ো কিছুটা করে ছড়িয়ে রেখে দিলে ঘরে আর ইঁদুর প্রবেশ করবে না। পরের দিন সকালে ঘর পরিষ্কার করার সময় ঝাঁটা দিয়ে সে সমস্ত বেকিং পাউডার ফেলে দিলেই হবে।