যশোরে বাড়ছে কালো ধানের চাষ। ফলে ভালো ফলন আর লাভ বেশি হওয়ায় এ ধান চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা। ধান উৎপাদনে প্রযুক্তিগত সহায়তা দেয়ার কথা জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
যশোর সদর উপজেলার ভাতুরিয়া গ্রামের কৃষক মাহবুবুল করিম। ইউটিউবে কালো ধারেন চাষ দেখে উদ্বুদ্ধ হন তিনি। বন্ধুর মাধ্যমে বীজ সংগ্রহ করে দেড় বিঘা জমিতে রোপণ করেন বীজ। ভালো ফলন হওয়ায় লাভের আশায় বুক বেধেছেন তিনি।
মাহবুবুল করিম বলেন, ঔষধি গুণসম্পন্ন এবং বহুমাত্রিক একটি সুবিধা পাওয়া যায় সেই আশায় কালো ধান রোপণ করেছি। বন্ধুর থেকে বীজ সংগ্রহ করে চাষাবাদ শুরু করেছি। যদি ভালো ফলন পাই তাহলে চাষের জন্য জমির পরিমাণ বাড়াবো।
ভালো ফলন হওয়ায় আগ্রহ দেখাচ্ছেন অন্যরাও। কৃষকরা বলেন, আমরা এবার নতুন এই ধান চাষ করছি। মাঠে এই ধানের ফলন খুব ভালো হবে বলে মনে হচ্ছে। আমাদের ইচ্ছা আছে আগামীতে আমরা এই ধান চাষ করবো।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, কালো ধান চাষে সব ধরণের সহযোগিতা দিচ্ছেন তারা। যশোরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ অফিসার মো. আবু তালহা বলেন, আমরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে এই ধান উৎপাদন করতে প্রযুক্তিগত জ্ঞান দরকার সেগুলো আমাদের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার মাধ্যমে কৃষকদের দেয়া হচ্ছে।
এদিকে পুষ্টিবিদ বলেছেন, এই ধানে পুষ্টি বেশি। তাই এই ধান মানবদেহের জন্য খুবই উপকারী। পুষ্টিবিদ মো. শাহারিয়া করিম জসি বলেন, কালো ধানে প্রচুর পরিমাণের ফাইবার থাকে। সেক্ষেত্রে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এই চাল ভালো অফশন। অ্যান্টি অক্সিডেন থাকার ফলে এই ধান রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এছাড়া ক্যান্সার প্রতিরোধের জন্য ভালো কাজ করে।
এ বছর জেলার তিন উপজেলায় চাষ হচ্ছে কালো ধানের। ২০২২ সালে কালো ধানের যাত্রা শুরু হয় এই জেলায়।