রাজধানীর সায়েদাবাদে ধর্ষণের অভিযোগে তিনজনকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১৪ আগস্ট) সকাল ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- সাইদুল ইসলাম ইয়াসিন (১৯), সাঈদ আরাফাত শরীফ (২০) ও অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি।
ইয়াসিনের বাবার নাম সাখাওয়াত হোসেন। তারা যাত্রাবাড়ীর ধলপুর বউবাজারে ভাড়া বাসায় থাকতেন। ইয়াসিন কুতুবখালী এলাকার একটি মাদরাসায় লেখাপড়া করতেন।
অন্যদিকে সাঈদ নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার কদমীরচর গ্রামের কবির হোসেনের সন্তান। যাত্রাবাড়ীর টনি টাওয়ার এলাকায় থাকতেন তিনি।
নিহত ইয়াসিনের মা শিল্পী আক্তার বলেন, ইয়াসিন ১৫ দিন ধরে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় কাজ করে আসছিল। মঙ্গলবার সকালে সে যাত্রাবাড়ীর ধলপুর বউবাজারের বাসা থেকে বের হয়। এরপর অনেকবার ফোনে কথা হয়েছে। আজ ভোর ৪টার দিকেও তার সঙ্গে কথা হয়। তখনও সে সুস্থ-স্বাভাবিক ছিল। সকালে কেউ একজন ফোন দিয়ে জানান আপনার ছেলের অবস্থা ভালো না, দ্রুত যাত্রাবাড়ী থানায় আসেন। সঙ্গে সঙ্গে থানায় গিয়ে ছেলেকে মুমূর্ষু অবস্থায় দেখতে পাই।
তিনি অভিযোগ করেন, থানা থেকে গাড়িতে করে হাসপাতালে নেয়ার সময়ও আমার ছেলে কথা বলছিল। বলছিল ওদের মিথ্যা অভিযোগে মারধর করা হয়েছে। ওরা কোনো অপরাধ করেনি। পরে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সাঈদকে হাসপাতালে নিয়ে আসা স্কাউট সদস্য সম্রাট শেখ বলেন, সায়েদাবাদে গণধর্ষণের অভিযোগে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা এই তিনজনকে গণপিটুনি দিয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় রেখে যান। এদের মধ্য থেকে আমি সাঈদ আরাফাত শরীফকে ঢাকা মেডিকেলে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া বলেন, সায়েদাবাদ থেকে ধর্ষণের অভিযোগে গণপিটুনির শিকার হন তিনজন। তাদের ঢাকা মেডিকেলে আনা হলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।