রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় গত বুধবার (১৪ আগস্ট) সচিবদের একটি গোপন সভায় অংশগ্রহণের যে তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েছে— তা সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) রাতে ঢাকার বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করেন কমিশনার সাবিরুল।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সেই পোস্টে দাবি করা হয়, এবার সিভিল ক্যুর চেষ্টা চলছে। সদ্য ওএসডি হওয়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন এবং ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার সাবিরুল সচিবদের নিয়ে গোপন বৈঠক ডাকেন। অন্তর্বর্তী সরকার উৎখাতে বুধবার রাত ৮টার দিকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার স্পট কমপ্লেক্সের হলরুমে সরকারের ৩০ জন সচিব, ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার, ডিসি ও এডিসিসহ অন্যান্যরা এ গোপন বৈঠকে বসেন।
গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ফেসবুকে ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার সাবিরুল ইসলাম সম্পর্কে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় গতকাল (বুধবার) রাত ৮টায় একটি সভায় অংশগ্রহণের কথা বলা হচ্ছে, যা সঠিক নয়।
এতে আরও বলা হয়, বিভাগীয় কমিশনার বুধবার সকালে তার সরকারি বাসভবন থেকে অফিসে যান এবং বিকাল ৫টার পরে তার সরকারি বাসভবনে ফিরে আসেন। এরপর থেকে তিনি বাসায় অবস্থান করেন। তিনি এ ধরনের কোনো বিষয়ে কিছুই জানেন না। বিষয়টি যেকোনো মাধ্যমে যাচাই করে দেখতে পারেন।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওইদিনই বিলুপ্ত হয় মন্ত্রিসভা। পরদিন ৬ আগস্ট দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি।
এরপর গত ৮ আগস্ট শপথ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
অন্তর্বতী সরকার শপথ গ্রহণের পর থেকেই নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। গত ১০ আগস্ট সদ্য সাবেক প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের ফুলকোর্ট সভা ডাকার ঘটনায় পাল্টা ‘ক্যু তত্ত্ব’ আলোচনায় আসে। যদিও ওই ঘটনার পর শিক্ষার্থীদের হাইকোর্ট ঘেরাও কর্মসূচিতে আল্টিমেটামের মুখে পদত্যাগ করেন ওবায়দুল হাসানসহ আপিল বিভাগের ৬ বিচারপতি। এরপর ফের ১৫ আগস্ট ঘিরে প্রতিবিপ্লবের এই গুঞ্জন ওঠে।