বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে গত ৪ আগস্ট রাজধানীর মিরপুর-১০ নম্বরে গুলিতে নিহত হন আহনাফ। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আজ (১৮ আগস্ট) থেকে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয় অন্তর্বর্তী সরকার।
আজ রোববার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফুলের তোড়া রাখা দুটি ছবি ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায় কলেজের শিক্ষার্থীদের মাঝে একটি টেবিলে একপাশে বসার স্থান ছিল খালি। তবে বই রাখার স্থানে রাখা হয়েছে ফুলের তোড়া। যেখানে লেখা রয়েছে, ‘শহিদ উদ্দিন আহমেদ আহনাফ’।
আন্দোলন শেষে রাজধানীর বিএফ শাহীন কলেজে আহনাফের সকল সহপাঠী ক্লাসে-পরীক্ষার টেবিলে ফিরলেও ফেরেনি আন্দোলনে নিহত বুলেটবিদ্ধ আহনাফ। আহনাফের টেবিলটা ছিল ফাঁকা। তাঁর স্মরণে বন্ধুরা সেখানে ফুল রেখেছে। আহনাফের শোকাহত বন্ধুরা তাদের প্রিয় সহপাঠীকে ভুলে যায়নি। কখনো ভুলতে পারবে না। ফুলের তোড়া রাখা ছবি দুটি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে ৪ আগস্ট রাজধানীর মিরপুর-১০ নম্বরে গুলিতে নিহত হয় আহনাফ।
রাজধানীর বিএএফ শাহীন কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল আহনাফ। ২০২৫ সালে তার এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। কোটা সংস্কার আন্দোলনের পক্ষে শুরু থেকেই আহনাফ সোচ্চার ছিল। আন্দোলনে অংশ নিয়ে টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেটে আহত হয়ে সে একবার বাসায় ফিরেছিল। আন্দোলনে যেতে নিষেধ করলে আহনাফ তার মা আর খালার নিষেধ শোনেনি। পরবর্তীতে গত ৪ আগস্ট রাজধানীর মিরপুর-১০ নম্বরে গুলিতে নিহত হয় আহনাফ।