ছাত্রজনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর আওয়ামী লীগের অনেক মন্ত্রী-এমপি ও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা আত্মগোপনে চলে যান। কেউ কেউ দেশ ছাড়তে পারলেও অনেকেই গ্রেপ্তার হচ্ছেন। তাদের মধ্যে শেখ হাসিনার একজন উপদেষ্টা, শীর্ষ সাবেক দুজন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীসহ দলের বেশ কয়েকজন নেতা রয়েছেন।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে কেউ কেউ রিমান্ডে আছেন, কোনো কোনো নেতাকে আবারও কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এখনও অনেক নেতা পলাতক রয়েছেন, যাদের অনেকের বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলনে হত্যার অভিযোহে মামলা হয়েছে।
ঢাকার সদরঘাট এলাকা থেকে গত ১৪ অগাস্ট রাতে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পরেরদিন রাতে রাজধানীর নিকুঞ্জ এলাকা থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত এবং সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রাজধানীর বারিধারা এলাকা থেকে গত ১৯ আগস্ট রাতে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি এবং আওয়ামী লীগ সরকারে সাবেক ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আরিফ খান জয়কে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ছাড়া রাজধানীর বনশ্রী থেকে মঙ্গলবার রাতে সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন এবং চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানা এলাকা থেকে সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাজনৈতিক দলের নেতা, বিচারক, সরকারি আমলা, পুলিশ কর্মকর্তাসহ প্রায় ৬২৬ জন ব্যক্তি বিভিন্ন সেনানিবাসে আশ্রয় নেন। তাদের মধ্যে মামলার আসামি হওয়ায় চারজনকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকিরা নিজ নিজ উদ্যোগে সেনাবাহিনী ক্যাম্প ছেড়ে চলে গেছে।
Priyo Bangla 24 – Most Popular Bangla News The Fastest Growing Bangla News Portal Titled Priyo Bangla 24 Offers To Know Latest National And Local Stories.