বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলা কালে গত ১৫ জুলাই আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে এক যুবককে আগ্নেয়াস্ত্র (পিস্তল) দিয়ে গুলি করতে দেখা যায়। সাদা শার্ট ও হেলমেট পরিহিত ওই যুবকের গুলি করার দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক ভাইরাল হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সেই যুবককে ধরে উত্তম মধ্যম দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। পরে তাকে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়।
গত ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ্ হলের সামনের রাস্তায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সে সময় এই যুবককে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে পিস্তল দিয়ে গুলি করতে দেখা যায়।
শিক্ষার্থীরা জানান, ছাত্রলীগ-যুবলীগ ও তাদের অঙ্গ সংগঠনের হেলমেট পরা সন্ত্রাসীরা পিস্তল হাতে নিয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের গুলি করে হত্যা করেছে। তাদের পিস্তল হাতে নিয়ে গুলি করার ফুটেজ ও ছবি সবার কাছেই আছে।
জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে নিউ মার্কেট এলাকা থেকে তিনজনকে আটকের পর ঢাকা কলেজের ভেতরে নিয়ে যান শিক্ষার্থীরা। গুলি ছুঁড়ে ভাইরাল হওয়া যুবককে তারা খুঁটিতে বেধে উত্তম মধ্যম দেন। পরে খবর দিলে সেনাবাহিনীর সদস্যরা তিনজনকে উদ্ধার করে নিয়ে যান। এ সময় সেখানে নিউমার্কেট থানা পুলিশের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
ওই যুবকসহ আটকরা হলেন- সোহেল (৩২), হাসিবুর রহমান শাওন (৩৪), ও আমিনুল ইসলাম সুমন (৩৭)।
সংবাদ পেয়ে নিউমার্কেট থানার পুলিশ সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নিউমার্কেট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. কামাল উদ্দিন।