টানা বৃষ্টিপাতের ফলে কাপ্তাই হ্রদের পানির স্তর বিপদসীমায় পৌঁছে যাওয়ায় কাপ্তাই বাঁধের স্পিলওয়েগুলো খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শনিবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। তবে এতে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন হ্রদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার (২৪ আগস্ট) বিকেল ৩টায় কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা ১০৭ দশমিক ৬৬ এমএসএল (মীনস সী লেভেল) রেকর্ড করা হয়েছে। যা বিপদসীমার কাছাকাছি হওয়ায় হ্রদের উজান ও ভাটি এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণে পানি নিষ্কাশনের জন্য শনিবার রাত ১০টায় স্পিলওয়ের ১৬টি গেটের ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হবে। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউবিক ফিট পানি নিষ্কাশিত হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বর্তমানে হ্রদের ইনফ্লো ও বৃষ্টিপাত নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ইনফ্লো বেশি হলে অর্থাৎ পানির স্তর অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেলে স্পিলওয়ের গেট খোলার পরিমাণ পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হবে।
কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এ টি এম আবদুজ্জাহের বলেন, হ্রদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সঙ্গে আলোচনা করেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ৫টি ইউনিটের সবগুলো দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন চলছে ফলে প্রতি সেকেন্ডে ৩২ হাজার কিউবিক ফিট পানি নিষ্কাশিত হচ্ছে।
এ বিষয়ে হ্রদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো. মোশারফ হোসেন খান বলেন, কাপ্তাই হ্রদে পানি বর্তমানে বিপদসীমায় পৌঁছেছে। বাঁধের ঝুঁকি এড়াতে এবং রুলকার্ভ অনুসরণ করে হ্রদের পানি ছাড়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে শনিবার সন্ধ্যায় ১৬টি গেট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রতিবছর এভাবেই পানি ছাড়া হয়।
তাই আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য সকলকে আহ্বান জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।