দেশের চলমান বন্যায় এখন পর্যন্ত দুইজন নারীসহ ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৪৮ লাখের বেশি মানুষ। বন্যায় বিপর্যস্ত মানুষের পাশে এগিয়ে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অন্যতম হলো শায়খ আহমাদুল্লাহর আসসুন্নাহ ফাউন্ডেশন। শত শত টন ত্রাণ নিয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে দিচ্ছেন ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবীরা। এমনকি এ কাজে অংশ নেওয়ার জন্য রীতিমতো প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে।
ত্রাণ সহায়তা নিয়ে আসসুন্নাহ ফাউন্ডেশনের আজকের কার্যক্রমের বিষয়ে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন তিনি। শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, অভূতপূর্ব ঘটনাবহুল এক দিন পার হলো আজ। স্বেচ্ছাশ্রম দেয়ার জন্যও যে মানুষ এইভাবে প্রতিযোগিতা করতে পারে, আমাদের ধারণার বাইরে ছিল।
তিনি লিখেন, আমাদের কর্মযজ্ঞে কায়িক শ্রম দিতে ছুটে এসেছিলেন হাজারো মানুষ। তাদের মধ্যে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, পা হারানো প্রতিবন্ধী, সনাতন ধর্মাবলম্বী, এমনকি শিশুরাও। আমরা সবার প্রতি কৃতজ্ঞ।
তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে ২০ হাজার পরিবারের জন্য শুকনো খাবারের প্যাকেজের কিছু অংশের কাজ আজ শেষ হয়েছে। এই কাজ শেষ হতে আরও দুদিন লাগবে। এছাড়া ৪০ হাজার পরিবারের জন্য ভারী খাবারের পরিকল্পনা থাকলেও সেটা বৃদ্ধি করে ৫০ হাজার করা হয়েছে। ভারী খাবারের কিছু অংশের কাজও সম্পন্ন হয়েছে আজ।
আহমাদুল্লাহ জানান, বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর ৪ হাজার পরিবারের পুনর্বাসনের পরিকল্পনা থাকলেও সেটাকে বাড়িয়ে ৫ হাজার করা হয়েছে। ঘর হারানো ৫ হাজার পরিবারকে টিন ও নগদ অর্থ সহায়তা করা হবে ইনশাআল্লাহ। মহান আল্লাহ আমাদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই জাতীয় দুর্যোগ থেকে আত্মরক্ষার তাওফিক দিন।