আরজি কর-কাণ্ডের জেরে ধর্ষণ শব্দের সঙ্গে পরিচিতি। তাই চাচীর কাছে ১৪ বছরের কিশোরীর প্রশ্ন ছিল, ‘ধর্ষণ কী?’ দুদিন পর তাকেই হতে হলো ধর্ষণের শিকার। গত ২২ আগস্ট ভারতের আসামের নওগাঁয় রাস্তার পাশ থেকে অর্ধচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ওই কিশোরীকে। অভিযোগ, কোচিং সেন্টার থেকে ফেরার সময় তাকে তিন জন দুষ্কৃতী গণধর্ষণ করে। তার পর রাস্তার ধারে তাকে ফেলে রেখে যায় তারা।
ভুক্তভোগীর চাচী ‘ইন্ডিয়া টুডে’র সঙ্গে কথা বলার সময় বারবার শিউরে উঠছিলেন। তার কথায়, ‘আমাকে ঘটনার দুদিন আগেই ধর্ষণ নিয়ে জিজ্ঞাসা করেছিল। আমি শুনে হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। ওকে কী উত্তর দেব ভেবে পায়নি।’
তার পরই তিনি বলেন, ‘এমন ভয়ঙ্কর ঘটনা আমাদের আমাদের সঙ্গে ঘটবে, ভাবতে পারিনি। এখন আমার মনে হচ্ছে, আমি ওকে রক্ষা করতে ব্যর্থ।’ মেয়ে বড় হয়ে ডিএসপি হতে চেয়েছিল, কান্নাভেজা গলায় জানান ভুক্তভোগীর চাচী।
চাচা-চাচী ও দাদা-দাদীর কাছেই থাকত ওই কিশোরী। তার বাবা-মা গুয়াহাটিতে থাকেন।
মেয়ের পড়াশোনার খরচ চালানোর মতো সামর্থ্য নেই তাদের। তাই ওই কিশোরীকে নিজের কাছে এনে রেখেছিলেন তার চাচী। কিশোরীর বাবা হাসপাতালের বাইরে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘মেয়েকে এমন অবস্থায় দেখব, তা ভাবতে পারেনি।’
অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা ঘটনার নিন্দা করে জানিয়েছেন, অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের ব্যবস্থা করা হবে। অভিযুক্তদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না।