শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশ অনুরোধ জানালে ভারত কী জবাব দেবে, এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে। তবে এই প্রশ্নের সরাসরি কোনো উত্তর দেননি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। তিনি শুধু বলেছেন, এই ধরনের প্রশ্ন অনুমাননির্ভর। আর অনুমাননির্ভর কোনো প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার রীতি নেই।
ভারত থেকে শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে দুটি প্রশ্ন করা হয় রণধীর জয়সওয়ালকে। বাংলাদেশ এমন অনুরোধ জানালে কী করা হবে জানতে চাইলে তিনি ওই কথা বলেন।
কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল হয়ে যাওয়ায় শেখ হাসিনা আইনগতভাবেই ৪৫ দিন ভারতে থাকতে পারবেন। এর মধ্যেই তিন সপ্তাহের বেশি সময় দেশটিতে পার করে ফেলেছেন তিনি।
শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পরদিন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর নয়াদিল্লিতে পার্লামেন্টে যে কথা বলেছিলেন তার পুনরাবৃত্তি করে জয়সওয়াল আজ আবার বলেন, গত ৫ আগস্ট খুব সংক্ষিপ্ত নোটিশে তিনি ভারতে প্রবেশের অনুমতি দিতে অনুরোধ করেছিলেন। তাকে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে যে ধরনের প্রশ্ন করা হচ্ছে তা কল্পনাপ্রসূত।
বাংলাদেশে ভারতের দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে জয়সওয়াল বলেন, পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলেই বাংলাদেশিদের সব শ্রেণির ভিসা দেওয়ার কাজ আবার শুরু হবে।
বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পে যুক্ত ভারতীয়রা তাদের দেশে ফিরে গেছেন বলেও জানান জয়সওয়াল।
তিনি বলেন, যখনই সে দেশের পরিস্থিতি স্থিতিশীল হবে এবং স্বাভাবিকতা ফিরে আসবে, তখন আমরা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে (উন্নয়ন) প্রকল্পগুলো এগিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা করব।
ঢাকার ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারে হামলার ব্যাপারে তিনি বলেন, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে তাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে। অস্থিরতা শেষে উন্নয়ন সহযোগিতা আবার শুরু হওয়ার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।
তিনি বলেন, এই মুহূর্তে বাংলাদেশিদের শুধুমাত্র মেডিকেল ভিসার মতো জরুরি ক্ষেত্রে ভিসা দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে অন্যান্য ক্যাটাগরিতে ভিসা দেওয়া আবার শুরু হবে।