গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ভারত পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমানে ভারতেই আছেন তিনি। বিগত ২৭ দিন ধরে দিল্লির হিণ্ডন বিমানঘাঁটিতে অজ্ঞাতস্থানে আছেন হাসিনা। এর মাঝে কয়েকবার ডোভালের সঙ্গে দেখা হয়েছে তার। তিনি আপাতত ভারত ছেড়ে অন্য কোনও দেশে যাওয়ার বিষয়ে জানাননি মোদি সরকারকে।
গত কয়েক দিন যাবৎ বিএনপি শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরানোর দাবিতে সরব হয়েছে। একই সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
তিনি বলেছেন, যদি আদালতের নির্দেশ আসে, তাহলে শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে বাংলাদেশে ফেরানোর জন্যে চেষ্টা করা হবে। হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে কি না, তা পুরোপুরি ভারতের সিদ্ধান্ত। অবশ্য, সেদেশেও আইন আছে। আমাদের দেখতে হবে সব আইন মেনেই যাতে প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।’ উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে ভারত ও বাংলাদেশ অপরাধী প্রত্যাবর্তন সংক্রান্ত চুক্তি সই করেছিল।
এদিকে হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরানোর সম্ভাবনা নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, এই বিষয়টি পুরোপুরি সম্ভাবনার ওপর দাঁড়িয়ে।
ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্থান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যেখানে শেখ হাসিনা আছেন সেখানে তার নিরাপত্তার জন্যে মোতায়েন আছে এনএসজি কমান্ডো এবং বায়ুসেনার গার্ড কমান্ডো।
প্রশ্ন উঠেছে, ৭৭ বছর বয়সি মুজিব কন্যা কি তাহলে পাকাপাকি ভাবে এখন ভারতে থাকবেন? রিপোর্ট অনুযায়ী, আমেরিকা বা ব্রিটেনে যাওয়ার সম্ভাবনার কথা প্রাথমিক ভাবে শোনা গেলেও সেখানে এখন আর রাজনৈতিক আশ্রয় পাবেন না হাসিনা। অন্য কোনও দেশে তিনি রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন জানিয়েছেন কি না, তাও স্পষ্ট নয়।