‘প্রিয় দেশবাসীর কাছে বলতে চাই, আপনারা কাদের ক্ষমতায় আনবেন দেখেন। ক্ষমতায় না আসতেই বিএনপির লোকের পাওয়ার বেড়ে গেছে। আজকে ক্ষমতার জেরে বিএনপির লোকজন আমাকে মারধর করেছে। আমি মরতে ভয় পাই না। আমাকে মেরে ফেলুক, তবে তাদের চেহারা ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে। সবাইকে শনাক্ত করে মামলা করা হবে।’
রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) বগুড়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে এসব কথা বলেন আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।
তিনি আরও বলেন, এক স্বৈরাচারের পতনের পর আরেক দল নিজেদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ শুরু করেছে। এইটা কি স্বাধীনতা? প্রকাশ্যে আমাকে হত্যার চেষ্টা করা হলো। আমি কখনও তারেক জিয়াকে নিয়ে কটূক্তি করিনি। ডিবির হারুন আমার পরিবারকে জিম্মি করে রিজভী সাহেবের বিরুদ্ধে মামলা করিয়েছিল। এই কথা আগেও বলেছি। এরপরও আমাকে আদালতের মতো জায়গায় আপনাদের সামনে পেটানো হলো।
এর আগে রবিবার বেলা সোয়া ১২টার দিকে বগুড়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে হিরো আলমকে কান ধরে উঠ-বস করানোর পর হামলা চালানো হয়। উপস্থিত জনতার সম্মুখেই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ এনে কয়েকজন যুবক এ হামলা চালান।
জানা যায়, রবিবার দুপুরে হিরো আলম ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে প্রচারণার সময় মারধর ও ২০২৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি একই আসনে উপ-নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। মামলায় ওবায়দুল কাদের, বগুড়া-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রেজাউল করিম তানসেন ও সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ ৩৯ জনকে আসামি করা হয়।