হালের আলোচিত নায়িকা পূজা চেরি। গেল ঈদুল আজহায় মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত সিনেমা ‘সাইকো’। মুক্তির পর থেকেই আলোচনায় ছিলেন তিনি।
২০ সেপ্টেম্বর প্রকাশ পেয়েছে তার অভিনীত নতুন সিনেমা ‘হৃদিতা’র ট্রেলার। আনিসুল হকের গল্পে সরকারি অনুদানে সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন ইস্পাহানি আরিফ জাহান। এতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তিনি।
তবে সিনেমাটির ট্রেলারে একটি দৃশ্যে বিবস্ত্র অবস্থায় দেখা যায় পূজা চেরিকে। ক্যানভাসে তুলির আঁচড়ে পূজার নগ্ন শরীরের ছবি আঁকতে দেখা যায় তার প্রেমিক চরিত্রে রূপদানকারী এ বি এম সুমনকে।
ক্যামেরায় পূজা বেশ সাবলীলভাবে ধরা দিলেও এমন বেশে তাকে মেনে নিতে পারেননি নেটিজেনরা। ফলে দৃশ্যটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় তুমুল সমালোচনা। তোপের মুখে ট্রেলার থেকে পূজার আপত্তিকর দৃশ্যটি বাদ দেওয়া হয়েছে।
ইতোমধ্যে সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পেয়েছে ‘হৃদিতা’। ট্রেইলার থেকে পূজার ‘বিতর্কিত’ যে দৃশ্য বাদ দেওয়া হয়েছে, সেই অংশটুকু সিনেমায় থেকে বাদ দেওয়া হবে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে নির্মাতা জানান ‘বিবস্ত্র ওই দৃশ্য কর্তন করা হবে না’।
এ বিষয়ে নির্মাতা বলেন, আমার সিনেমাটি সেন্সর করা। কয়েকটি ফ্রেমের একটি শট নিয়ে মানুষ সমালোচনা করবে এটা আমি কখনও চাইনি। ওই দৃশ্য নিয়ে আমি আর কোনো কথাই বলতে চাই না। যে কারণে ট্রেইলার থেকে দৃশ্যটি মুছে দিয়েছি।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, সিনেমাটি অনেকেই দেখেছেন কেউ খারাপ বলেনি। পুরো সিনেমা না দেখে হঠাৎ করে ট্রেইলার দেখে কেউ কেউ নিতে পারেনি বা বোঝেনি, তাই সমালোচনা করছেন। সিনেমাটি যখন মুক্তি পাবে তখন দর্শক দেখে সমালোচনা তো করবেই না, বরং প্রশংসা করবে। পরিপূর্ণ সামাজিক একটি সিনেমা; এতে অনেক কিছুই আছে যেগুলো নান্দনিকভাবে তুলে ধরা হয়েছে। আনিস ভাই (আনিসুল হক) সিনেমাটি দেখেছেন। ওনার কাছে ভালো লেগেছে, তিনি নিজেও তার ফেসবুক আইডি থেকে সিনেমার প্রমোশন করছেন। নিয়মিত পোস্ট করছেন। খারাপ কিছু হলে ওনাকেও আমরা পেতাম না।
প্রসঙ্গত, ৭ অক্টোবর দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ‘হৃদিতা’। কথাসাহিত্যিক আনিসুল হকের উপন্যাস অবলম্বনে একই নামে সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন যুগল নির্মাতা ইস্পাহানি আরিফ জাহান। ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ৫৫ লাখ টাকা সরকারি অনুদান পাওয়া সিনেমাটিতে পূজার নায়ক এবিএম সুমন। এতে আরও অভিনয় করছেন মানস বন্দ্যোপাধ্যায়, সাবেরী আলম, আরজুমান আরা প্রমুখ।