শসা খাওয়া শরীরের জন্য খুবই উপকারী। একটু চেষ্টা করলেই বাড়িতে ছাদে বা বারান্দায় রাসায়নিক ছাড়াই সম্পূর্ন জৈবিক পদ্ধতিতে শসা চাষ করা সম্ভব।
মাটি : দোআঁশ মাটি শসা চাষের পক্ষে খুবই উপকারী। এই মাটির সঙ্গে ৩০% গোবরসার মিশিয়ে নিলেই শশার জন্য মাটি তৈরি হবে। টব বা বস্তায় এই মাটি ভরে নিন।
জাত : বাজারে বা নার্সারিতে বিভিন্ন জাতের শসার বীজ পাওয়া যায়। বীজকে ২-৩ ঘন্টা জলে ভিজিয়ে রেখে মাটিতে লাগান।
বীজ বোনার সময় : শসা মূলত গ্রীষ্মকালের ফসল।
মাটিতে গর্ত করে শসার বীজ দিয়ে দিন। ৭-১০ দিনের মধ্যে ছোট চারা গজিয়ে যাবে।
শসা একটা লতানে গাছ। তার জন্য মাচা বানিয়ে দিতে হয়। মাচা না থাকলে নেট কিংবা বারান্দার গ্রিল ধরেও শসা গাছ বড় হতে পারে।
সার প্রয়োগ : গাছের বয়স ১ মাস হলে সর্ষের খোল বা অন্য জৈব সার দেওয়া যায়।
পোকামাকড় : ফল ও পাতা ছিদ্রকারী পোকার জন্য নিমের তেল স্প্রে করা যেতে পারে। পোকার সংক্রমণ রুখতে দৈনিক বিকেলে শসা গাছে পরিষ্কার জলও স্প্রে করা যায়।
রোগ : মাচার শসা চাষের জন্য মূলত রোগের তেমন প্রাদুর্ভাব দেখা যায় না। চাষের জন্য মূলত যেটি প্রয়োজন গাছের গোড়ায় যেন কোনওভাবেই জল না দাঁড়ায়।
ফলন : রোদের তাপের সঙ্গে মাঝে মাঝে বৃষ্টি শসা চাষের পক্ষে উপকারী। মাচার শসা চাষে মূলত দু’মাস সময় থাকে। সব সময় নজর রাখতে হবে শসা যেন মাচা থেকে ঝুলে থাকে।
এই পদ্ধতি মেনে চললেই ঘরে বসে অর্গানিক শসা খেতে পারবেন।
Priyo Bangla 24 – Most Popular Bangla News The Fastest Growing Bangla News Portal Titled Priyo Bangla 24 Offers To Know Latest National And Local Stories.