স্বাস্থ্যগত ইস্যুকে গুরুত্ব দিয়ে সৌদি কর্তৃপক্ষ কড়া বার্তা দিয়েছে। আগামী হজে অর্থাৎ ২০২৫ সালে যারা পবিত্র হজ পালনের পরিকল্পনা করছেন তাদের ওপর এই নতুন নির্দেশনা কার্যকর করা হবে। এর আওতায় পড়বেন ওমরা পালন ইচ্ছুক মুসল্লিরাও। এতে তারা বেশকিছু শ্রেণিভুক্ত মানুষকে হজ এবং ওমরাহ পালনে না যাওয়ার বার্তা দিয়েছেন।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যেসব বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষ (বয়স ৬৫ বছর বা তারও বেশি), দীর্ঘমেয়াদি কঠিন রোগে আক্রান্ত যেমন হৃদরোগ, কিডনি, শ্বাসপ্রশ্বাস জনিত সমস্য, ডায়বেটিস, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, ক্যানসার আক্রান্ত, খুবই অসুস্থ, অন্তসত্ত্বা এবং ১২ বছরের কম বয়সী শিশু তাদের এই বছর হজ ও ওমরাহ পালনের পরিকল্পনা বাদ দেয়া উচিত। খবর খালিজ টাইমস।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যারা স্বাস্থ্যগত এবং শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন শুধুমাত্র তারাই যেন হজে আসেন। কারণ আগামী বছরও হজ হবে গ্রীষ্মকালের প্রখর রোদ ও গরমের মধ্যে। সেখানে বলা হয়, যেহেতু হজ পালনে প্রায় ২৫ কিলোমিটার পথ হাঁটতে হয় তাই সেই ধরনের শারীরিক সক্ষমতা থাকতে হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
চলতি বছর হজ পালন করতে গিয়ে প্রায় ১ হাজার ৩০০ মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। যাদের বেশিরভাগেরই প্রাণ গেছে অতিরিক্ত গরমের মধ্যে হেঁটে। এ বছর যখন হজ অনুষ্ঠিত হয় তখন সৌদিতে অস্বাভাবিকরকম তাপমাত্রা ছিল।
যেসব মানুষ অনুমতি ছাড়া হজ করতে গিয়েছিলেন তারা এই দীর্ঘ পথ হাঁটার পর বিশ্রামের জন্য কোনো জায়গা পাননি। এছাড়া পর্যাপ্ত পানিও পাননি অনেক হজযাত্রী। এতে করে খোলা ময়দানে অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন তারা। পরিস্থিতি এমনও হয়েছিল অনেকের মরদেহ সড়কে পড়েছিল। কিন্তু মানুষ এবং যানবাহনের চাপের কারণে অ্যাম্বুলেন্স বা স্বাস্থকর্মীরা দীর্ঘ সময় পর্যন্ত সেগুলো উদ্ধার করতে পারেননি।