নব্বইয়ের দশকের ছেলেমেয়েদের কাছে ফাল্গুনী পাঠকের গাওয়া ‘সজনা’ (Sajna) গানটি কেবলমাত্র একটি গান নয়, এটি একটি ইমোশন। ভালোলাগা, ভালোবাসার কত স্মৃতি যে এই গানেরসঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে তা গুনে শেষ করা যাবে না। সম্প্রতি এই আইকনিক গানটির নতুন রিমেক ভার্সন গেয়ে নেটিজেনদের কটাক্ষের শিকার হয়েছিলেন নেহা কক্কর। এবার তাঁকে ধুয়ে দিলেন খোদ ফাল্গুনী পাঠক (Falguni Pathak)।
সম্প্রতি একটি নামী সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতার সময় এই বিষয়ে মুখ খোলেন ফাল্গুনী। গায়িকা বলেন, নেহা (Neha Kakkar) এই গানটির রিমেক ভার্সন গেয়ে গানটির নিজস্বতাকে একেবারে নষ্ট করে দিয়েছেন। সেই সঙ্গেই গানটির শিশুসুলভ ভাব, অনুভূতিকেও শেষ করে দিয়েছেন।
ফাল্গুনী এই বিষয়ে বলেন, ‘আমি রিমিক্স ভার্সনের বিষয়ে ৩-৪ দিন আগে জানতে পারি। প্রথম প্রতিক্রিয়া তো ভালো ছিল না। আমার শুধু বমি পাওয়াটা বাকি ছিল, এমন অবস্থা হয়ে গিয়েছিল। ভিডিও এবং দৃশ্যায়নে যে শিশুসুলভ একটা মিষ্টি ব্যাপার ছিল সেটা একেবারে নষ্ট করে দিয়েছেন’।
‘সজনা’ গানের প্রকৃত গায়িকার সংযোজন, ‘রিমিক্স করলে ভদ্রভাবে করুন। তরুণ প্রজন্মের কাছে পৌঁছতে চাইলে গানের রিদম বদলে দিন। কিন্তু এমন সস্তা ধরণের বানাবেন না, গানের যে নিজস্বতা, অনুভূতি রয়েছে সেটিকে বজায় রাখুন। গানের নিজস্বতাকে ধ্বংস করবেন না’।
কয়েকদিন আগে ফাল্গুনী নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে ‘সজনা’ রিমেক নিয়ে নেটিজেনদের কয়েকটি নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার স্ক্রিনশট শেয়ার করেছিলেন। তখনই আন্দাজ করা গিয়েছিল, গায়িকা হয়তো পরোক্ষভাবে নেহাকেই নিশানা করছেন। এবার সংবাদমাধ্যমে তাঁর দেওয়া বক্তব্যের পর সেই কথা একেবারে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে।
অপরদিকে নেহাও ‘সজনা’ রিমেক নিয়ে ফাল্গুনী পাঠক এবং ট্রোলারদের কড়া জবাব দিয়েছিলেন। একটি পোস্ট শেয়ার করে গায়িকা লিখেছিলেন, ‘আমি জীবনে যা অর্জন করেছি, তা অনেক কম মানুষের ভাগ্যেই থাকে। এত কম বয়সে এত খ্যাতি, এত সুপারহিট গান, সুপারডুপার হিট টিভি শো, ওয়ার্ল্ড ট্যুর, বাচ্চা থেকে ৮০-৯০ বছরের অনুরাগী আরও কী নয়। আপনারা জানেন আমি এসব কীভাবে পেয়েছি?’
নেহার সংযোজন, ‘প্রতিভা, জেদ, কঠোর পরিশ্রম এবং ইতিবাচকতার জোরে আমি এগুলি পেয়েছি। আমার কাছে আজ যা রয়েছে, আমি সেই কারণে ভগবানকে ধন্যবাদ জানাই। আমি ভগবানের বিশেষ সন্তান আর সেই কারণে সকলকে ধন্যবাদ জানাই’।