‘আওয়ামী লীগকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার নীলনকশা হচ্ছে’ দাবি করে গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছেন দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।
তিনি বলেছেন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদারের ‘আওয়ামী লীগ ছাড়াও আগামী জাতীয় নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে’ এবং আওয়ামী লীগকে রাজনীতি থেকে ১০ বছর দূরে রাখার ষড়যন্ত্র আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং এ ধরণের অপতৎপরতা থেকে দূরে থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহবান জানাচ্ছি।
বুধবার সন্ধ্যায় ‘প্রেস এন্ড মিডিয়া বিডি’ নামের একটি হোয়াটসআপ গ্রুপ থেকে মাহবুবউল আলম হানিফ এই বিবৃতি প্রদান করেন।
হানিফের প্রেস সেক্রেটারী মোহা. তারিক-উল-ইসলাম টুটুল বিবৃতিটি প্রেরণ করেন। এই গ্রুপের অ্যাডমিন তিনি নিজেই।
বিবৃতিতে হানিফ উল্লেখ করেন, ‘নির্বাচন কমিশন সংস্কারের প্রধান হিসাবে বদিউল আলম মজুমদার একেবারে অগ্রহণযোগ্য কথা বলেছেন। উনি একদিকে গণতন্ত্রের কথা বলছেন আবার আওয়ামী লীগের মতো ঐতিহ্যবাহী বৃহৎ, শক্তিশালী রাজনৈতিক দল; যে দলের নেতেৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছে। দেশের সমস্ত উন্নয়ন, অগ্রযাত্রা, মর্যাদা যে দলের হাত ধরে, সেই দলকে নির্বাচনের বাইরে রেখে নির্বাচনের কথা বলেছেন। যেটা এবার অগ্রহণযোগ্য এবং অযৌক্তিক। আওয়ামী লীগকে বাইরে রেখে বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন অতীতে কখনো হয়নি, ভবিষ্যতেও হওয়ার সম্ভবনা নেই। আইয়ুব খানের শাসনামল থেকে শুরু করে প্রতিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিয়ে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেছে। আওয়ামী লীগ এই দেশের মাটি ও মানুষের দল। আওয়ামী লীগের শেকড় এই বাংলার মাটির অনেক গভীরে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বর্তমান প্রেক্ষাপটে কিছুটা বিব্রতকর অবস্থায় আছে। কিন্তু এটাও মাথায় রাখতে হবে ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিবের সপরিবার হত্যার মধ্য দিয়ে যখন আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল তখনো এরকম একটা ধাক্কা এসেছিল। সেই আওয়ামী লীগ ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। অতএব, এবারের ঘটনায় এমন ভাবার কোনো কারণ নেই যে, এই আওয়ামী লীগ ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না। আওয়ামী লীগ আবার অতীতের মতো ঘুরে দাঁড়াবে এবং আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশ নিবে। আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে এই বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হবে না।