সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর যৌক্তিকতা আছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী।
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকের পর বুধবার (২ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে অনেকদিন ধরে একটি আন্দোলন চলছে। এটার ভিত্তিতে সরকার পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি করে দিয়েছে। আমাদেরকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, বয়সসীমা বৃদ্ধির দাবিতে যারা আন্দোলন করছেন, তাদের সঙ্গে আমরা বসেছিলাম। সরকারের বর্তমান নীতিমালা এবং ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা ও সার্বিক পরিস্থিতির আলোকে সবকিছু চিন্তা করে আমরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো। বয়স বৃদ্ধি করার যৌক্তিকতা আছে, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
কী যৌক্তিকতা আছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোভিড, সেশনজটে অনেকের সমস্যা হয়েছে। এখনকার চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো উচিত। তবে, কতটুকু বাড়ানো দরকার, এটা আমি আজ বলতে পারছি না। আমরা সবকিছু পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো, কতটুকু বাড়ানো যায়।
এদিকে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির বিষয়ে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে সরকার সিদ্ধান্ত দিতে চেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছরপ্রত্যাশী আন্দোলনকারীদের সমন্বয়ক রাসেল মাহমুদ।
বুধবার (২ অক্টোবর) সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
রাসেল মাহমুদ বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আমাদের সঙ্গে বৈঠকের জন্য টিম করে দিয়েছিলেন। সেই টিমের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তারা আমাদের কথা শুনেছেন৷ তারা বলেছেন, আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে একটা যৌক্তিক সমাধান দেবেন।
সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়স ৩৫ বছর নির্ধারণের দাবিতে অনেকদিন ধরে আন্দোলন করছেন চাকরিপ্রার্থী ও শিক্ষার্থীরা। গত সোমবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। তারা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকও করেন।
ওই দিনই চাকরিপ্রার্থীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পর্যালোচনা করে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য কমিটি গঠন করা হয়।