অনেকেই মনে করেন, বয়স বাড়লে নারীদের শারীরিক চাহিদা কমে যায়। কিন্তু তা সম্পূর্ণ ঠিক নয়। এমনটাই জানা গেছে নতুন এক সমীক্ষায়। তিন হাজার দু’শ নারীর ওপর সমীক্ষা চালানোর পর এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। গত ২৮ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত ওই সমীক্ষার ফলাফলে বলা হয়েছে,
এক-চতুর্থাংশ নারী মনে করেন- বয়স বাড়লেও শারীরিক সম্পর্কে জড়ানোটা জরুরি। নর্থ আমেরিকান মেনোপজ সোসাইটির একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে সমীক্ষাটির ফল প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে গবেষককদের প্রধান হোলি থমাস বলেন, যাদের ওপর সমীক্ষা চালানো হয়েছে,
তাদের প্রায় এক চতুর্থাংশই মনে করেন, বয়স যতই বাড়ুক, শারীরিক সম্পর্ক বজায় রাখা উচিত। তিনি আরো বলেন, বয়স্ক নারীদের মধ্যে চাহিদা প্রতি এই আগ্রহ একেবারেই অস্বাভাবিক নয়। পিটসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক থমাসের বক্তব্য, সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে,
যেসব নারী বয়স বাড়লেও শারীরিক সম্পর্কের প্রয়োজনের কথা বলছেন, তাদের অনেকেই এটা শুধু প্রয়োজন নয়, খুব জরুরি বলেই মনে করেন। সমীক্ষায় অংশ নেওয়া নারীদের ৪৫ শতাংশ মনে করেন, মাঝ বয়সের শুরুর দিকে শারীরিক সম্পর্ক জরুরি হলেও এরপর তার গুরুত্ব একটু একটু করে কমতে থাকে।
২৭ শতাংশ নারী মনে করেন, বয়স বাড়লেও শারীরিক সম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং ২৮ শতাংশ বয়সকালের চাহিদাকে কম গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন। নর্থ আমেরিকান মেনোপজ সোসাইটির ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে এই সমীক্ষা রিপোর্ট প্রাথমিকভাবে সামনে নিয়ে আসা হলেও এখনো তা কোনো জার্নালে প্রকাশ হয়নি।
সমীক্ষায় উঠে এসেছে, কৃষ্ণাঙ্গদের কাছে বয়সকালে চাহিদার গুরুত্ব সর্বাধিক। অন্যদিকে, চীন ও জাপানের নারীদের ক্ষেত্রে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের গুরুত্ব কমে যায়।
এমনকি অনেকের ক্ষেত্রে একেবারেই গুরুত্ব থাকে না। অবসাদগ্রস্ত নারীরা আবার বয়স বাড়লে একেবারেই চাহিদার পক্ষে নন। সমীক্ষায় এটাও দেখা গেছে, উচ্চ শিক্ষিত নারীদের মধ্যে বয়সকালে শারীরিক সম্পর্কের আগ্রহ বেশি। সূত্র : ইউপিআই