সুবাস নয়, এ ফুলের পরিচিতি তার দুর্গন্ধের জন্য ৷ এর পোশাকি নাম কর্পস ফ্লাওয়ার বা শবফুল। এই ফুলের গন্ধ পচা মানবদেহের মতো। তবে তার পরও হাজার হাজার মানুষ এক বার তার কাছে যেতে চায়। আকার ও আকৃতির জন্য এই ফুলের আর এক নাম পেনিস প্ল্যান্ট। প্রস্ফুটিত এই ফুলের দিকে তাকালে এক ঝলকে মনে হয় পুরুষাঙ্গের কথা। এই ফুল খুবই বিরল।
নেদারল্যান্ডসে প্রায় ২৪ বছরের মধ্যে এই প্রথম ফুটেছে বিরল প্রজাতির পেনিস প্ল্যান্ট। ইউনিভার্সিটি অব লেইডেনের বোটানিক্যাল গার্ডেনে সাড়ে ছয় ফুট লম্বা একটি পেনিস প্ল্যান্ট গাছে ফুলটি ফুটেছে। এর আগে সর্বশেষ ১৯৯৭ সালে লেনডেন হটার্স বোটানিক্যাল গার্ডেনে পেনিস প্ল্যান্টে ফুল ফোটার ঘটনা ঘটেছিল।
পেনিস প্ল্যান্ট বিরল প্রজাতির একটি গাছ এবং এতে একবার ফুল ফুটতে ২০ বছর বা তারও বেশি সময় লাগতে পারে। চুরুটের মতো গাছের আকার এবং অস্বাভাবিক গঠনের ফুলের কারণে এটি পেনিস প্ল্যান্ট হিসেবে পরিচিত। তবে এর বৈজ্ঞানিক নাম আমোরফোফ্যালাস ডেকাস-সিলভি। লেইডেনের বোটানিক্যাল গার্ডেনের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ইউরোপের ইতিহাসে এ নিয়ে মাত্র তৃতীয়বারের মতো পেনিস প্ল্যান্ট গাছে ফুল ফোটার ঘটনা ঘটল।
ইন্দোনেশিয়া ও জাভা অঞ্চল এই গাছের আদি উৎপত্তিস্থল। নির্দিষ্ট পরিবেশ দরকার হয় বলে গাছটির পরিচর্যা করা অত্যন্ত কঠিন। আর কোনোভাবে গাছের পরিচর্যা করা গেলেও ফুল ফোটার ঘটনা খুবই বিরল। এই গাছ দর্শনীয় হলেও এর ফুলের গন্ধ পচা মাংসের মতো।