চলচ্চিত্রের মিশা সওদাগরের নতুন এক তথ্য ফাঁস হলো সম্প্রতি। যে তথ্যে মিশা একজন দুর্নীতিগ্রস্ত প্রকৌশলী। তার স্ত্রী ও বান্ধবীর সাথে সম্পর্ক ঠিক রাখতে হিমশিম খেতে দেখা যায় তাকে। বান্ধবীকে ম্যানেজ করতে উপহার দেন একটি ফ্ল্যাট। একদিন হঠাৎ বান্ধুবীর জন্য কেনা অ্যাপার্টমেন্টের লিফটে আটকা পড়েন মিশা। শুরু হয় গল্প। যে গল্পের নাম যদি আমি বেঁচে ফিরি’
দুর্নীতিগ্রস্ত প্রকৌশলীর এমন চরিত্র দিয়েই ওটিটিতে যাত্রা হচ্ছে দেশের শীর্ষ খল অভিনেতা মিশা সওদাগরের।
তানিম পারভেজ পরিচালিত ‘যদি আমি বেঁচে ফিরি’ ফিল্মে প্রথমবারের মত কাজ করেছেন এই অভিনেতা। আগামী ২৯ সেপ্টম্বর চরকিতে মুক্তি পাবে কনটেন্টটি।
প্রথমবার ওটিটির জন্য কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল সেটা জানিয়ে মিশা সওদাগর বলেন, ‘নতুন জায়গায় গেলে বা নতুন কারো সাথে পরিচয় হলে সেটার অভিজ্ঞতা ভিন্ন রকম থাকে। চরকির ক্ষেত্রেও আমার তেমনটা মনে হয়েছে। আর চরকি তো এরই মধ্যে তার কর্মফল দিয়ে মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে। কাজটা করার আগে থেকেই ফোকাস ছিলাম যে ভালো একটা প্ল্যাটফর্মের জন্য কাজ করতে যাচ্ছি। আমি যতটুকুন পেরেছি আমার সিরিয়াসনেসকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি।’
নিজের চরিত্র ও গল্প নিয়ে তিনি আর যোগ করেন, ‘গল্পটা দারুণ একটা হিউম্যান সাইকোলজির উপর। আর চরিত্রটা ছিল খুব বাস্তবসম্মত; দেখে মনে হবে খুব কাছের বা আপনার আশেপাশের একটা চরিত্র। আরোপিত কোনো চরিত্র না। আর এই গল্পটার মধ্যে অনেক বার্তা আছে যেটা দর্শক দেখলে বুঝতে পারবে।’
শ্যুটিংয়ের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে তিনি বলেন, ‘এখন তো শ্যুট শেষ একটা জিনিষ শেয়ার করতেই পারি। আমি ক্লাস্টোফোবিয়ার রোগী। লিফট, বেজমেন্টে, হাইট, অন্ধকারে গেলে আমার হাত-পা কাঁপতে থাকে। যখন আমি শুনলাম যে লিফটের মধ্যের গল্প তখন থেকেই চিন্তায় ছিলাম। পরে তো ভালো মতোই কাজটা শেষ করলাম।’