বিশ্বের ১২টিরও বেশি দেশের ৩৯৮ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের জন্য আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞার চাপ এড়াতে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে শত শত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
মার্কিন অর্থ ও পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, এ তালিকায় ১২টিরও বেশি দেশের ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, তৃতীয় দেশের নিষেধাজ্ঞা এড়ানোর বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সমন্বিত ধাক্কা। এ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় বেশ কিছু চীনা, হংকং এবং ভারতীয় কোম্পানি রয়েছে। নিষেধাজ্ঞায় থাকাদের বেশিরভাগ এসব দেশের ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। এছাড়া রাশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তুরস্ক, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সুইজারল্যান্ড এবং অন্যান্য দেশের কোম্পানি রয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ ২৭৪টি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর এবং পররাষ্ট্র দপ্তর ১২০টিরও বেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এ ছাড়া বাণিজ্য বিভাগ ৪০টি কোম্পানি এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর প্রতি তাদের কথিত সমর্থনের জন্য একটি বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যুক্ত করেছে।
ডেপুটি ট্রেজারি সেক্রেটারি ওয়ালি আদেয়েমো এক বিবৃতিতে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং আমাদের মিত্ররা রাশিয়ার ইউক্রেনের বিরুদ্ধে তার অবৈধ ও অনৈতিক যুদ্ধ চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং প্রযুক্তির প্রবাহ বন্ধ করার জন্য বিশ্বজুড়ে সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নেয়া অব্যাহত রাখবে।
চীনের ওয়াশিংটন দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেংইউ বলেন, বেইজিং অবৈধ এবং অযৌক্তিক একতরফা নিষেধাজ্ঞার দৃঢ়ভাবে বিরোধী। অন্যদিকে ওয়াশিংটনে রুশ ও ভারতীয় দূতাবাস এ বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে তাৎক্ষণিক সাড়া দেয়নি। এ ছাড়া তুরস্কের সরকারও এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।