আরও র..হস্যময় হয়ে উঠছে ১১ মাথার সেই নারকেল গাছ, রাতে জ্বীনদের আড্ডা

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি : প্রকৃতির এক মহৎ সৃষ্টি হলো গাছপালা। আর সেই গাছ যদি হয় রহস্যময়, তাহলে তো কথাই নেই। এমনি এক গাছের দেখা মিলেছে, নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার মশিন্দা ইউনিয়নের কাছিকাটা স্কুল অ্যান্ড কলেজ চত্বরে।
এটি বিরল প্রকৃতির ১১ মাথার একটি নারকেল গাছ। স্থানীয়রা এটিকে আল্লাহর কুদরতি গাছ হিসেবে দেখছেন। গতকাল সোমবার সরজমিন দেখা যায়, নারকেল গাছের মোট ১২টি মাথা থাকলেও ইতোমধ্যে একটি মাথা শুকিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে।
আর বাকি ১১টি মাথা সবুজ আর প্রাণবন্ত অবস্থায় রয়েছে। এ ধরনের নারকেল গাছ এলাকায় প্রমবারের মতো দেখা গেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে। স্থানীয়রা মনে করেন, এটি প্রকৃতির এক অদ্ভুত সৃষ্টি। তাই এর সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন।
কাছিকাটা স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক ছাত্র ও মশিন্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বারী জানান, আমাদের সময় স্কুলের সাবেক সভাপতি মরহুম সরফাতুল্লাহ তালুকদার এই নারকেল গাছ রোপণ করেছিলেন। বর্তমানে গাছটির ১১টি মাথা রয়েছে।
এটি বিরল প্রকৃতির অসাধারণ একটি গাছ। গাছটি দেখতে প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ ভিড় করছে। এলাকাবাসীর মধ্যে এ নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্কুলের আরেক প্রাক্তন ছাত্র ও রেলওয়ের সাবেক মহাপরিচালক মো. আবদুর রহীম বলেন, এই নারকেল গাছের মোট ১২টি মাথা থাকলেও একটি শুকিয়ে যাওযায় বর্তমানে ১১টি মাথা দেখা যাচ্ছে। পরিবেশবিদদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে গাছটির পরিচর্যা এবং সংরক্ষণে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার জোর দাবি জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা আক্তার বলেন, বিরল প্রকৃতির এই নারকেল গাছের পরিচর্যা এবং সংরক্ষণে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে।