রাজধানীর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে লাগা আগুন চার ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। সবশেষ সকাল ৭টা বাজেও আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। আগুনের কারণে প্রচুর ধোঁয়া ও তাপ সৃষ্টি হয়েছে। ফায়ার কর্মীর আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র অনুযায়ী, তারা আগুন লাগার খবর পায় দিবাগত রাত ১টা ৫২ মিনিটে। ১টা ৫৪ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছান ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য আটটি ইউনিট কাজ করলেও, পরে বাড়িয়ে ১৮টি করা হয়।
তাৎক্ষিণভাবে আগুন লাগার কারণ বা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্যমতে, সচিবালয়ের সাত নম্বর ভবনে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন বিভাগ রয়েছে।
এ ঘটনার পর উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের বিগত সময়ে হওয়া অর্থলোপাট, দুর্নীতি নিয়ে আমরা কাজ করছিলাম। কয়েক হাজার কোটি টাকা লুটপাটের প্রমাণও পাওয়া গিয়েছিল। আগুনে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এখনো জানা যায়নি। আমাদেরকে ব্যর্থ করার এই ষড়যন্ত্রে যে বা যারাই জড়িত থাকবে তাদের বিন্দু পরিমাণ ছাড় দেওয়া হবে না। এই মুহুর্তে আছি নীলফামারিতে, যত দ্রুত সম্ভব ঢাকা ব্যাক করছি।
জানা গেছে, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, পুলিশ, বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন (বিজিবি) ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরা রয়েছেন।