অবশেষে ভারতের সঙ্গে করা সেই গোপন চুক্তি ফাঁ’’স

২০০৭ সালের এক এগারোর সময়, বাংলাদেশে সেনাবাহিনী সমর্থিত একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদের নেতৃত্বে এই সরকার দেশের রাজনৈতিক উত্তেজনা প্রশমিত করার উদ্যোগ নেয়। কিন্তু সেই সময়ের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড এবং ভারতের সঙ্গে একটি চুক্তি বাংলাদেশি রাজনীতিতে গভীর প্রভাব ফেলে।

চুক্তির গুরুত্বপূর্ণ দিকসমূহভারতের সঙ্গে এই চুক্তি অনুযায়ী চারটি মূল বিষয় আলোচনায় উঠে আসে:

আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনা

চুক্তির অন্যতম শর্ত ছিল ভারতের সমর্থনে আওয়ামী লীগকে পুনরায় ক্ষমতায় আনা।জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধ

জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার মাধ্যমে ইসলামী রাজনৈতিক শক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করা।যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু

যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রম শুরু করা, যা ইসলামী দলের রাজনৈতিক প্রভাব হ্রাস করার উদ্দেশ্যে গৃহীত হয়েছিল।

মইন ইউ আহমেদকে রাষ্ট্রপতি করার প্রতিশ্রুতি

মইন ইউ আহমেদকে রাষ্ট্রপতি করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল চুক্তির বিনিময়ে।এক এগারোর রাজনৈতিক পরিণতিএই চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশে রাজনৈতিক ভারসাম্যের পরিবর্তন ঘটে। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ জয় এবং জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপির ক্রমবর্ধমান সংকট সেই পরিবর্তনের প্রতিফলন।

ভারত ও পশ্চিমা প্রভাবনির্বাচনে পশ্চিমা শক্তি এবং ভারতের কৌশলগত ভূমিকা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। বিএনপির ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন ঠেকানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়, যা এই চুক্তির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বলে ধারণা করা হয়।

মইন ইউ আহমেদের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক ভূমিকাচুক্তির অংশ হিসেবে রাষ্ট্রপতির পদে যাওয়ার সুযোগ তৈরির কথা থাকলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। তবে এই ঘটনাগুলো তার সামগ্রিক রাজনৈতিক প্রভাব এবং তৎকালীন সরকার পরিচালনায় ভারতের ভূমিকার বিষয়টি প্রকাশ করে।

বিতর্ক ও প্রতিক্রিয়াএ ঘটনা বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিতর্কের জন্ম দেয়। জাতীয় স্বার্থে বিদেশি প্রভাবের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা এবং এক এগারোর সময়ের সিদ্ধান্তগুলোর সঠিকতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এই চুক্তি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়।