বিয়ের প্রলোভনে এক কিশোরীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে আসছিল যুবক আবুল কালাম। এতে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে মেয়েটি। অথচ অন্যজনকে বিয়ে করে সে। অভিযোগ পেয়ে গত বৃহস্পতিবার বাসরঘর থেকে তাকে আটক করেছে পুলিশ।
অভিযোগ রয়েছে, বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার এক কিশোরীর (১৮) সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করে আবুল কালাম (২৬)। এক পর্যায়ে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। তাঁকে ফেলে গত বুধবার অন্যজনকে বিয়ে করে কালাম।
অভিযোগ পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে বাসরঘর থেকে আবুল কালামকে আটক করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে অভিযোগ স্বীকার করে সে। এর পর শুক্রবার ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কালামকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি ওবায়দুর রহমান।
ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ওই কিশোরী বাবার সঙ্গে বাড়িতে থাকতেন। তাঁর মা ঢাকায় চাকরি করেন। এর মধ্যে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরীর সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করে অভিযুক্ত আবুল কালাম। এতে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে কিশোরী।
কিশোরীর মা বলেন, ‘গত মঙ্গলবার মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। বুধবার বাড়িতে এসে তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ধরা পড়ে সে অন্তঃসত্ত্বা। এর পর সে কালামের কথা জানায়।’
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি ওবায়দুর রহমান জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযোগ স্বীকার করেছে কালাম। এ ঘটনায় ধর্ষণ মামলা হয়েছে। এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কিশোরীকেও আদালতে জবানবন্দির জন্য পাঠানো হয়েছে। এর পর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।