“আমার শাশুড়ি মনে হয় আমার খাবারের মধ্যে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দিয়েছিল। কারণ, আমি কিছুই বুঝতে পারিনি।”—বেদনাদায়ক এই স্বীকারোক্তি আছিয়ার বোনের, যার চোখের সামনে এক নিষ্পাপ প্রাণ নিঃশেষ হয়ে গেল।
রাতের বেলায় তিনজন একসঙ্গে ঘুমিয়েছিলেন। কিন্তু কীভাবে সব বদলে গেল, তা বুঝতেই পারেননি তিনি। রাত আটটার পর ঘুমিয়ে পড়েছিলেন, কিন্তু ফজরের কিছু আগে উঠে দেখেন—দরজা খোলা, আর বোনটি নিথর হয়ে পড়ে আছে।
“আমি বাথরুম থেকে ফিরে দেখি ও পড়ে আছে। দরজা দিয়ে ওকে খাটের পাশে রাখলাম। তখনো বুঝিনি কী ভয়াবহ কিছু ঘটে গেছে। কিছুক্ষণ পর ও কষ্টে কাঁদতে শুরু করে, বলে—‘আপু, আমার অনেক কষ্ট হচ্ছে, আমার শরীর জ্বালাপোড়া করছে।’”
তখনো তিনি ভাবছিলেন, হয়তো পড়ে গিয়ে ব্যথা পেয়েছে, তাই ঘুমাতে বলেছিলেন। কিন্তু সকালে বুঝতে পারলেন, আসল ঘটনা আরও ভয়ংকর।
“ওর নিঃশ্বাস ভারী হয়ে যাচ্ছিল, হাত-পা শক্ত হয়ে আসছিল। আমি ওকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘কি হয়েছে?’ ও বলল—‘তারা আমার সাথে এটা করেছে।’ আমি তখনও কিছু বুঝতে পারিনি, কারণ আমাকেও ঘুমের ওষুধ দিয়ে অচেতন করে রাখা হয়েছিল।”
সকালের দিকে আরও অবস্থা খারাপ হয়। শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল, মুখে আঘাতের চিহ্ন ছিল। শেষবারের মতো সে বলেছিল—”আপু, আমাকে বাঁচাও!” কিন্তু ততক্ষণে দেরি হয়ে গেছে।
“আমার বোনের এই ঘটনার সাথে আমাদের শ্বশুরবাড়ির সবাই জড়িত। তাদের প্রত্যেকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত। শুধু ফাঁসি দিলেই এদের অপরাধের সাজা শেষ হবে না!”
আছিয়ার পরিবারের এখন একটাই দাবি—দোষীদের এমন শাস্তি দিতে হবে, যেন আর কোনো মেয়েকে এমন নির্মম পরিণতির শিকার হতে না হয়।
Priyo Bangla 24 – Most Popular Bangla News The Fastest Growing Bangla News Portal Titled Priyo Bangla 24 Offers To Know Latest National And Local Stories.