ইংল্যান্ডের সারের তরুণী অ্যানি শার্লট জন্ম থেকেই এক বিরল শারীরিক অবস্থার শিকার। তার শরীরে রয়েছে দুইটি বিশেষ অঙ্গ, জরায়ু ও জরায়ুমুখ—যা চিকিৎসা বিজ্ঞানে পরিচিত ‘ইউটেরাস ডাইডেলফিস’ নামে। বিষয়টি তিনি জানতে পারেন স্থায়ী গর্ভনিরোধক ব্যবস্থা নেওয়ার সময়।
প্রথমে হতভম্ব হলেও, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেন অ্যানি। তার শরীরে প্রতি মাসে দুইবার ঋতুস্রাব হয়, যা তার জন্য চ্যালেঞ্জিং। তিনি চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে জানতে পারেন, তত্ত্বগতভাবে তিনি একই সময়ে দুইজন পুরুষের দ্বারা গর্ভধারণ করতে পারেন! তবে এতে গর্ভপাতের ঝুঁকি বেশি এবং অস্ত্রোপচারের মাধ্যমেই সন্তান জন্ম দিতে হতে পারে।
শারীরিকভাবে ভিন্ন হওয়ার বিষয়টি প্রথমে মানতে কষ্ট হলেও, সময়ের সঙ্গে নিজের দুশ্চিন্তা ঝেড়ে ফেলেন অ্যানি। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় তিনি বুঝতে পারেন, ভিন্ন হওয়াই খারাপ কিছু নয়।
বরং তিনি নিজের শরীর নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি শুরু করেন, যা এখন তার প্রতি মাসে প্রায় ছয় লাখ টাকা আয়ের উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে।