উত্তর প্রদেশের বদাউঁ জেলার এক অভাবনীয় ঘটনার খবরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পেশায় ট্রাকচালক সুনীল কুমার কাজের জন্য মাসে মাত্র কয়েকবার বাড়িতে ফিরতেন। তিনি নিয়মিতভাবে বাড়িতে টাকা পাঠাতেন, সংসার চালানোর দায়িত্ব থেকে কখনও সরে যাননি। কিন্তু এই ফাঁকেই ঘটেছে এক বিস্ময়কর ঘটনা।
সুনীল কুমারের স্ত্রী মমতা ও তাঁদের চার সন্তান রয়েছে। তাঁদের মধ্যে এক মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে ২০২২ সালে। ওই বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির আত্মীয় হিসেবে মমতার বাড়িতে যাতায়াত শুরু হয় জামাইয়ের বাবা শৈলেন্দ্র ওরফে বিল্লুর।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, শৈলেন্দ্র মাঝরাতে বাড়িতে ঢুকতেন এবং ভোর হওয়ার আগেই বেরিয়ে যেতেন। আত্মীয় হওয়ার কারণে কেউ তেমন সন্দেহ করেননি। কিন্তু সুনীলের ছেলের ভাষ্য, শৈলেন্দ্র এলেই তাঁর মা তাঁকে অন্য ঘরে পাঠিয়ে দিতেন।
সম্প্রতি মমতা হঠাৎ করেই বাড়ি ছেড়ে চলে যান। সঙ্গে নিয়ে গিয়েছেন নগদ টাকা ও গয়না। এরপরই সুনীল কুমার স্থানীয় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর দাবি, মমতা মেয়ের শ্বশুর শৈলেন্দ্রের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছেন।
এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ মমতা ও শৈলেন্দ্রকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। স্থানীয় মহলে এই সম্পর্ক নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে।