চাকরি দেওয়ার কথা বলে সিলেট থেকে দুই কিশোরীকে কক্সবাজারে পাচার করে অনৈতিক কাজ করানোর অভিযোগ উঠেছে শাহনাজ বেগম নামে প্রতিবেশী এক নারী ও তার ছেলে ইমন আহমদের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ভুক্তভোগীরা কক্সবাজার থেকে পালিয়ে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি হয়েছেন।
তারা জানান, শাহনাজ বেগমের বাসায় টিভিতে নাটক দেখার সুবাদে প্রায়ই যাতায়াত ছিল তাদের। গত ৮ এপ্রিল শাহনাজ বেগম তাদের দুজনকে পোশাক কারখানায় চাকরির কথা বলে সিলেট থেকে কক্সবাজারে তার ছেলে কাছে পাঠায়। সেখানে তাদেরকে কৌশলে চেতনানাশক দ্রব্য খাইয়ে অজ্ঞান করে আবাসিক হোটেলে নিয়ে অনৈতিক কাজ করান শাহনাজ বেগমের ছেলে ইমন আহমদ।
পরদিন জ্ঞান ফিরলে ভুক্তভোগী দুই কিশোরী নিজেদেরকে আবাসিক হোটেলে রুমে দেখতে পায় জানিয়ে আরও জানান, গত ৯ এপ্রিল রাত থেকে শুরু করে ২৩ এপ্রিল রাত পর্যন্ত তাদের দুজনকে এসব কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে সিলেটের শাহপরান থানায় আসেন।
ভুক্তভোগী এক কিশোরীর মা জানান, তিনি কাজের উদ্দেশ্যে বাইরে গেলে তার মেয়ে ও আরেক প্রতিবেশীর মেয়ে টিভি দেখতে পাশের বাসার শাহনাজ বেগমের বাসায় যেতো। কিন্তু এই সুযোগে তাদের দুজনকে খুব আদর-স্নেহ করে ঘনিষ্ঠ হন। একপর্যায়ে মেয়ে দুটোকে চাকরির প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে গোপনে কক্সবাজারে তার ছেলের কাছে পাঠিয়ে সর্বনাশ করেছেন শাহনাজ বেগম।
তিনি আরও বলেন, প্রায় ১৪ দিন আমার মেয়েসহ ছোট্ট দুটি মেয়ের শরীরের ওপর অমানসিক নির্যাতন করা হয়েছে। বর্তমানে আমার মেয়ে ওসমানী হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি রয়েছে।
ভুক্তভোগী অপর কিশোরীর বাবা বলেন, শাহনাজ বেগম ও তার ছেলে ইমন আহমদ আমাদের মেয়েদের সঙ্গে যে অন্যায় করেছে। বিশেষ করে তারা দুজনে মিলে আমাদের মেয়েদের মান-মর্যাদা ও ভবিষ্যৎ অন্ধকার করে দিয়েছে। আমরা এর যথাযথ বিচার ও মা-ছেলে দুজনের সর্বোচ্চ শাস্তি কামনা করছি।
ওই প্রতিবেশী নারী শাহনাজ বেগম ও তার ছেলে ইমন আহমদ গাঢাকা দেওয়ায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাহপরাণ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল চন্দ্র সরকার বলেন, দুই কিশোরীর মা-বাবা তাদেরকে নির্যাতন করায় অভিমান করে পূর্ব পরিচিত ওই নারীর ফাঁদে পা দেয়।
পরিবারের লোকজনের সঙ্গে অভিমান করে দুই বান্ধবী কক্সবাজার পালিয়ে যায় বলে দাবি করে শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন বলেন, এ ঘটনায় দুজনের পরিবারের পক্ষ থেকে আমরা মিসিং ডায়েরি পেয়ে তদন্ত কর্মকর্তা মোবাইল ফোনে তাদেরকে বুঝিয়ে ফেরত আনেন। তাদের দুজনকেই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে হোটেলে নিয়ে অনৈতিক কাজে বাধ্য করা ও ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তির বিষয়ে তিনি অবগত নন বলেও দাবি করেন তিনি।
Priyo Bangla 24 – Most Popular Bangla News The Fastest Growing Bangla News Portal Titled Priyo Bangla 24 Offers To Know Latest National And Local Stories.