চিকিৎসা বিজ্ঞানে পুরুষাঙ্গে ইনজেকশন দেওয়া হয় খুব সীমিত কিছু ক্ষেত্রে এবং এটি অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে করা হয়। অনেকেই এই বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্ত থাকেন। বাস্তবে পুরুষাঙ্গে ইনজেকশন কোনো সাধারণ চিকিৎসা নয়, বরং বিশেষ সমস্যায় ব্যবহৃত একটি মেডিকেল পদ্ধতি।
ইরেকটাইল ডিসফাংশন (ED) চিকিৎসায়
পুরুষদের মধ্যে ইরেকটাইল ডিসফাংশন বা উত্থানজনিত সমস্যার সমাধানে যখন ট্যাবলেট বা মুখে খাওয়ার ওষুধ কার্যকর হয় না, তখন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ইনজেকশন থেরাপির ব্যবস্থা করেন। এ ক্ষেত্রে Alprostadil, Papaverine বা Phentolamine জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা হয়। এগুলো পুরুষাঙ্গে রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধি করে সাময়িকভাবে স্বাভাবিক ইরেকশন তৈরি করে।
পেয়রোনিস ডিজিজ (Peyronie’s Disease)
এই রোগে পুরুষাঙ্গে প্ল্যাক তৈরি হয়ে বাঁকাভাব দেখা দেয়। অনেক সময় চিকিৎসক ইনজেকশনের মাধ্যমে Collagenase জাতীয় ওষুধ প্রয়োগ করে প্ল্যাক ভাঙার চেষ্টা করেন, যা পুরুষাঙ্গের বাঁকাভাব কমাতে সহায়তা করে।
ক্ষুদ্র সার্জারি বা প্রক্রিয়ার আগে
অল্প কিছু ক্ষেত্রে, ছোটখাটো সার্জারি বা প্রক্রিয়ার আগে স্থানীয় অ্যানেসথেসিয়ার জন্য পুরুষাঙ্গে ইনজেকশন দেওয়া হতে পারে।
সতর্কবার্তা
- পুরুষাঙ্গে ইনজেকশন কখনোই নিজে নিজে দেওয়া উচিত নয়।
- ভুল প্রয়োগ করলে দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা, রক্তক্ষরণ, ফাইব্রোসিস বা প্রিয়াপিজম (অস্বাভাবিক দীর্ঘসময় ধরে ইরেকশন) হতে পারে।
- সবসময় ইউরোলজি বা যৌনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শে এই চিকিৎসা নিতে হবে।