কুকুর কার্নিভোরা অর্থাৎ শ্বাপদ বর্গ ভুক্ত এক প্রকারের মাংসাশী স্তন্যপায়ী প্রাণী। প্রায় ১৫ হাজার বছর আগে একপ্রকার নেকড়ে মানুষের শিকারের সঙ্গী হওয়ার মাধ্যমে গৃহপালিত পশুতে পরিণত হয়। তবে কারও কারও মতে কুকুর মানুষের বশে আসে ১০০,০০০ বছর আগে। অবশ্য অনেক তথ্যসূত্র অনুযায়ী কুকুরের গৃহ পালিতকরণের সময় আরও সাম্প্রতিক বলে ধারণা প্রকাশ করে থাকে।
নেকড়ে ও শিয়াল কুকুরের খুবই ঘনিষ্ঠ প্রজাতি (নেকড়ে আসলে একই প্রজাতি)। তবে গৃহপালিত হওয়ার পরে কুকুরের বহু বৈচিত্র্যময় জাত তৈরি হয়েছে, যার মধ্যে মাত্র কয়েক ইঞ্চি উচ্চতার কুকুর (যেমন চিহুয়াহুয়া) থেকে শুরু করে তিন ফুট উঁচু (যেমন আইরিশ উলফহাউন্ড) রয়েছে।
কুকুরটি বিভিন্ন আচরণ, সংবেদনশীল ক্ষমতা এবং শারীরিক গুণাবলীর জন্য সহস্রাব্দে বেছে বেছে জন্মগ্রহণ করেছে। কুকুরগুলি শাবকগুলিতে উপশ্রেণীতে বিভক্ত, যা আকার, আকার এবং রঙে পৃথকভাবে পরিবর্তিত হয় তারা মানুষের জন্য অনেক ভূমিকা পালন করে, যেমন শিকার, পাল, ভার টান, সুরক্ষা, পুলিশ এবং সামরিক বাহিনীকে সহায়তা, সাহচর্য, থেরাপি এবং অক্ষম মানুষকে সহায়তা করা।
মানবসমাজের উপর এই প্রভাব তাদের “মানুষের সেরা বন্ধু” এর সংক্ষিপ্তসার দিয়েছে। এমন একটি কুকুরকে ট্রেনিং দিয়ে লালন পালন করেছে এমন একটি মানুষ ।যার কথা ছাড়া তার পোষা কুকুরটি কোন কাজ করে না বরং তারা আদেশের অপেক্ষা করে থাকে। তারা আদেশের নরচর করে না। কুকুর পুষতে চান এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুঃসাধ্য।
সকলেই চায় তাদের একটি কুকুর থাকুক যে কুকুরকে পোষ মানিয়ে নিজেদের মতো করে চালাবে। তাদেরকে একটি জায়গার মধ্যে এনে ট্রেনিং দিবে ।যাতে করে কুকুর গুলো তারা তাদের মালিকের কথার অমান্য না করে এবং
মালিক যা করতে বলে তারা যেন তারা করে। এমন একটি মানুষ হচ্ছে যে তার কুকুরকে এমনভাবে ট্রেনিং দিয়েছে যে তারা আদেশ ছাড়া তার কুকুরগুলো খাবার পর্যন্ত খায় না ।বরং সে আদেশ দিলে তার কুকুরগুলো খাবার খেতে আসে। খাবার দেওয়া পর্যন্ত কুকুরগুলো তার মালিকের জন্য লাইনে অপেক্ষা করে।