সৌদি আরবের খেজুর ও চারা উৎপাদন করে সফল শরীয়তপুরের সোলেমান খান। কঠোর পরিশ্রমে এ সফলতা পেয়েছেন সোলায়মান। প্রতিদিন অনেকেই খেজুর বাগান দেখতে আসেন।
জানা যায়, ইউটিউবে ভিডিও দেখে ২০১৯ সালের ২ বিঘা জমিতে ১০০ খেজুরের চারা লাগান। ২ বিঘা জমিতে খেজুরের বাগান করতে খরচ হয় প্রায় ৪ লাখ টাকা। ৩ বছরের ব্যবধানে এখন তার বাৎসরিক আয় ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা।
সোলাইমান খান বলেন, ভাগ্য ফেরাতে ইউটিউব দেখে খেজুরে চারা সংগ্রহ করে নিজের মতো করে গাছের পরিচর্যা করতে থাকি। পাশাপাশি নার্সারিও করি। নার্সারিতে বিভিন্ন দামে খেজুর চারা বিক্রি হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ইচ্ছা ও পরিশ্রমই মানুষের ভাগ্য ঘুরিয়ে দিতে পারে। উদ্যম নিয়ে নিরলসভাবে পরিশ্রম করে গেলে সফলা আসে।
সোলায়মানের বাবা দলিল উদ্দিন খান বলেন, ছেলেকে খেজুর বাগান করার জন্য জমি দিছি। এখন সাফল্য এসেছে। খেজুর ও চারা বিক্রি করে ছেলের সংসার ভালোই চলে।
স্থানীয় শাহ আলম মিয়া বলেন, সৌদি থেকে খেজুরের চারা এনে চাষ করে ৩ বছরেই সফল হয়েছেন সোলায়মান। তার গাছে খেজুরও ধরেছে। কাঁচা খেজুরগুলো খেতে অনেক মিষ্টি ও সুস্বাদু। তার থেকে চারা নিয়ে আমরাও খুরমা খেজুর চাষ করে সফল হতে চাই।
স্থানীয় নাগেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোজাম্মেল খান বলেন, সৌদির খেজুর চাষ করে লাভবান সোলায়মান। তার গাছে খেজুর ধরেছে। এমন উদ্যোগ নিলে দেশে খেজুরের চাহিদা কিছুটা হলেও পূরণ করবে।