ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নাম জায়েদ খান। নানা ঘটনায় সারা বছরই বিতর্কে থাকেন এই চিত্রনায়ক। তাকে নিয়ে বিতর্কের যেন শেষ নেই। একটি শেষ হলে নতুন আরেকটি বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন অভিনেতা।
তবে কোনো বিতর্ককেই গায়ে মাখেন না জায়েদ খান। চলেন নিজের মর্জিতে। তার দাবি, যে গাছের ফল মিষ্টি, সে গাছে ঢিলও ছোঁড়া হয় বেশি। অর্থাৎ, যে যতটা জনপ্রিয়, তাকে নিয়ে বিতর্কও তত বেশি হয়।
এগুলো সব জায়েদ খানের বলা পুরনো কথা। নতুন কথা হলো, বিয়ে নিয়ে সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের এ অভিনেতা। সেখানে তিনি বলেন, ‘এত মেয়ের ক্রাশ, এত মেয়ে আমাকে দেখতে আসে; বিয়ে করলেই তো দাম পড়ে যাবে।’
সাম্প্রতিক সময়ে জনপ্রিয়তা যাচাই হয়ে গেল মনে করছেন জায়েদ খান। পিরোজপুরে তাঁকে দেখতে জনতার ঢল নেমেছিল। এসেছিল প্রচুর মেয়ে।
সেই অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে জায়েদ খান বলেন, ‘আমার জন্মস্থানে এত মানুষ আমাকে দেখতে এসেছে, এত দিন আমি বুঝিনি, যার ফলে আগে কোনো অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা হয়নি। এবার শুধু মাইকিং করা হয়েছিল―আমাদের পিরোজপুরের সন্তান, পিরোজপুরের গর্ব জায়েদ খান আসবেন পূজা দেখতে। ওখানে কোনো কালচারাল অনুষ্ঠানও ছিল না যে আমি পারফর্ম করব নাথিং লাইক দ্যাট। শুধু অষ্টমী আর নবমী―সেখানে মানুষের ঢল। প্রচুর বৃষ্টি, বৃষ্টি উপেক্ষা করে একটা মানুষও বাসায় যায়নি। আমাকে দেখে যাবে, তিল ধারণের জায়গা ছিল না নেছারাবাদে।’
প্রচুর মেয়েও জায়েদ খানকে দেখতে এসেছিল। এমনই আরেকটি অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করে অভিনেতা বলেন, ‘নাজিরপুরে গেলাম। ১০টায় পূজা শেষ কিন্তু আমি ১২টায় পৌঁছেছি। সেখানে মেয়েরা প্রচুর। এত মেয়ে, মেয়েরা মায়েরা, বোনেরা আমাকে দেখার অপেক্ষায় ছিল। এটা আমার কাছে খুব খুব ভালো লেগেছিল। আমার জন্য এত মানুষের ভালোবাসা, এত মানুষ দেখার জন্য এসেছে―এটা আমাকে আবেগতাড়িত করেছে, পিরোজপুরের প্রতি আমি আবারও ঋণী হয়ে গিয়েছি। ঠিক করেছি, এখন থেকে সময় পেলেই গিয়ে ঘুরে আসব।’
বিয়ে করছেন কবে? এ প্রশ্নের জবাবে জায়েদ খান বলেন, ‘এই যে একটু আগেই বললাম, এত মেয়ে আমাকে দেখতে আসে, এত এত মেয়ের ক্রাশ, বিবাহিত হলে কি দেখতে আসত? এই ক্রাশটাই থাকুক না। হাতে আছে একটা জিনিস, ছেড়ে দিলেই তো শেষ। নাটাই তো আমার হাতে, থাকুক না হাতে কিছুদিন দাম বাড়িয়ে তারপর বিয়ে করব। বিয়ে করলেই তো দাম পড়ে যাবে।’